24.9 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকসালমান খানের ঘনিষ্ঠতার কারণে ভারতের মন্ত্রী সিদ্দিক খুন

সালমান খানের ঘনিষ্ঠতার কারণে ভারতের মন্ত্রী সিদ্দিক খুন

পূর্ববার্তা ডেস্ক

ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সোশাল মিডিয়া। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে বাবা সিদ্দিকীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বাবা সিদ্দিককে লক্ষ্য করে মোট ছয়টি গুলি ছোড়া হয়, যার মধ্যে চারটিই তার বুকে লাগে। গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। তাদের মধ্যে হরিয়ানার বাসিন্দা কর্নেইল সিংহ (২৩) আর উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপ (১৯) ধরা পড়েছেন। অন্যজনকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের ধারণা, এই তিনজনকে সমন্বয় করছিলেন আরেক ব্যক্তি, তিনিও পালিয়ে গেছেন।

এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। পোস্টটি দেওয়া হয় শিবু লঙ্কার নামের একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

ওই অ্যকাউন্ট বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সহযোগী শুভম রামেশ্বর লঙ্কারের বলে ধারণা করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
আততায়ীর গুলিতে ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক (৬৬) নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিক। গাড়িতে উঠতে যাবেন, এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, বাবা সিদ্দিককে লক্ষ্য করে মোট ছয়টি গুলি ছোড়া হয়, যার মধ্যে চারটিই তার বুকে লাগে। গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এর মধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন।

এনডিটিভি লিখেছে, মহারাষ্ট্রের ভোটের আগে রাজ্যের রাজধানীতে ঘটা এ হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনা তদন্তে তারা চারটি বিশেষ দল গঠন করেছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজন নিজেদেরকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছেন। তবে পুলিশ এখনো ওই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

বলিউড তারকা সালমান খানের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠতার কারণে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর আগে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন সালমান খান। এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৫ দিন আগে বাবা সিদ্দিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে “ওয়াইচ্ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।

লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। তবে তার গ্যাং ব্যবসায়ীদের ফোন কল দিয়ে নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। এই দলে ৭০০ জনেরও বেশি শুটার রয়েছেন, যারা ভারতজুড়ে ছোট-বড় অপরাধী হিসেবে কাজ করেন।

১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন সময় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠে। অভিনেতার বিরুদ্ধে সেই সময় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। পরবর্তীতে হরিণ হত্যা মামলা থেকে সালমান রেহাই পেলেও “লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায়চ্ তিনি থেকে যান। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ কৃষ্ণসার বা চিংকার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে, বলতে গেলে তারা পূজা করে।