পিতা মাতার ভঙ্গুর সম্পর্ক ও পারিবারিক অস্থিতিশীলতা সহ্য করতে না পেরে মানুষ হিসাবে ব্যর্থ ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে চবি ছাত্রী ।
চবির দক্ষিন ক্যাম্পাসের একটি বাসা থেকে অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজরিয়ান আহমেদ সোয়ারার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহ’ত্যা করেছেন।
তার রুমে ‘I am sorry I failed as a human to be’ লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
ভোর ৪ টা ৫১ মিনিটে এই চিরকুট লেখা হয়।
নিহত তাজরিয়ান অর্থনীতি বিভাগের ২০২১—২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা ফ্ল্যাটে এসে দেখি মেয়েটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির তদারকিতে তার মরদেহ থানায় পাঠানো হচ্ছে।’
তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, বাবা—মায়ের মধ্যে সম্পর্কের ফাটলের কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। তাতে ইংরেজিতে লেখা ‘আই অ্যাম সরি, আই ফেইলড এস অ্যা হিউম্যান’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করার পর এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে আমাদের।
তাজরিয়ান আহমেদের সহপাঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ঈশা দে বলেন, আমি প্রায়ই ওর বাসায় যেতাম। গতকালও গিয়েছিলাম পড়তে। ও কিছুটা ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের ছিল। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর জেনে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ও পারিবারিক কারণে বিষণ্ন থাকতো, তবে আমাদের সঙ্গে খুব বেশি কিছু শেয়ার করতো না।
এর আগে গত দুই মাস আগে পারিবারিক কলহ ও পিতামাতার বিচ্ছেদের আশঙ্কা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তাজরিয়ান। সেখানে তিনি পিতা কর্তৃক বিভিন্ন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।