23.7 C
Chittagong
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদটপ নিউজথানায় ফিল্মি কায়দায় মাফিয়া গ্যাং স্টাইলে ছবি ভাইরাল,নিন্দার ঝড়

থানায় ফিল্মি কায়দায় মাফিয়া গ্যাং স্টাইলে ছবি ভাইরাল,নিন্দার ঝড়

সারাদেশ ডেস্ক :

নরসিংদীর রায়পুরা থানার মূল ফটকের সামনে ফিল্মি কায়দায় মাফিয়া গ্যাং স্টাইলের কিছু যুবকের বেপরোয়া আচরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ছবিগুলোতে দেখা যায়- কয়েকজন যুবক রাতে একটি মাইক্রোবাসের সামনে ও ছাঁদে উঠে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ছবি তুলছেন।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ মাইক্রোবাসের দরজা খুলে, কেউবা ছাঁদে দাঁড়িয়ে, আবার কেউ গুণ্ডা-বখাটে ধাঁচের ভঙ্গিতে পোজ দিচ্ছেন।

এমন সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

অনেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মন্তব্য করেছেন- রায়পুরা থানা কি কিশোর গ্যাংয়ের দখলে? আবার কেউ কেউ এটিকে চরম বেপরোয়া মনোভাবের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, রমজানের প্রথম দিন গত রবিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আরমান মিয়া আইনি পরামর্শ নিতে থানায় যান।

তার সঙ্গে ওই যুবকরাও থানার সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে। মূলত এরপর যখন আরমান মিয়া থানার ভেতরে প্রবেশ করেন তখন তারা বাহিরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তোলেন।

ছবিতে সাতজন যুবককে লক্ষ্য করা যায়। তাদের বয়স আনুমানিক ১৭ থেকে ২০ বছর হবে। তারা মাফিয়া ভঙ্গিমায় বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তোলে তা টিকটকে আপলোড করেন। পরে এটি নেটিজেনদের নজরে আসলে বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে।

মরজাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আরমান মিয়া বলেন, প্রথম রমজানের দিন ইফতারের পরে আমি রায়পুরা থানাতে যাই একটি বিষয় নিয়ে।

আমি থানাতে যাওয়ার পর তারা ওই মাইক্রোবাস নিয়ে থানাতে আসে ফুটবল খেলার অতিথি করার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য।

আমি তখন তাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলি কিন্তু কোন সময় তারা এই অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ছবি তুলেছে তা আমি দেখিনি এবং জানি না। তারা এই সব ছবি তুলেছে টিকটকে দেওয়ার জন্য।

এ ছাড়া ছেলেগুলো খুব ভালো, কেউ ব্যবসা করে, আবার কেউ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আমরাও আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি।

ওই দিন মরজাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আরমান মিয়া থানায় একটি আইনি কাজে এসেছিলেন। ওনার কাছেই ছেলেগুলো এসেছে, পরে তাকে ডেকে এনে কথা বলার পর উনার মাধ্যমেই দু’একজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি।

পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা এগুলো টিকটকের জন্য করা হয়েছে বলে জানায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরাও তদন্ত করছি। কিভাবে তুলল, এই সুযোগটাই কিভাবে পেলো। আমাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছি, প্রযুক্তির সকল টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা হার্ডলাইনে কাজ করছি। পরবর্তীকালে যেন এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে।’

এদিকে, সাধারণ মানুষের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।