ফেসবুক, টিকট’ক, ইউটিউব, সোশাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের ট্রেন্ড এখন এই গান। মূলত পরিবারের সঙ্গে ঘু’রতে গিয়ে নৌকায় সুন্দর পরিবেশ দেখে শখের বসে নিজের ক’ণ্ঠে সেলফি ক্যা’মেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করেছিলেন। এবং সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে পো’স্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই গানটি ভা’ই’রা’ল হয়ে যায়। সম্প্রতি ভা’ই’রা’ল হওয়া ‘জীবন খাতায় প্রে’ম’ গান নিয়ে মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে গানের পিছনের গল্প ও নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন শিল্পী বিথী চৌধুরী।
তিনি জানান, সিলেটের বাইশটিলায় নৌকা ভ্র’মণে গিয়ে সেখানে গান গেয়ে নিজের সেলফি ক্যামেরা দিয়েই ভিডিও ধারণ করেছিলেন। বর্তমানে ভাই’রাল হওয়া গান তিনি গত ২৮ তারিখ ফেসবুকে থেকে শে’য়ার করেন। আর তখনই গানটি ভাই’রাল হয়ে যায়। তার সাথে ইউকেলেলে ছিলেন এসএ মোহন। তিনি বলেন, আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়াশোনা করি তখন থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ ছিল। সে সময় আমি গানের ওপর তালিম নিয়েছি।
ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি আলাদা একটা টান ছিল। সেই টান থেকে গান গাওয়া শুরু। এবং প্রফেশনালি গান করতাম। সবসময় পরিবারের সবাই উৎ’সাহ দিয়েছেন। বাবা-মা সংগীত প্রিয় হওয়ায় গান করতে গিয়ে কোনো বাঁ’ধার মু’খে পড়তে হয়নি। বিথী বলেন, গানের জগতে একমাত্র আমা’র পরিবারের উৎসাহ থেকে আসা। আমা’র মা উনার খুব শখ ছিল, ইচ্ছে ছিল যে উনার মে’য়ে গানের ভালো শিল্পী হবে। এক কথায় পরিবার ও মায়ের ইচ্ছেতেই গানের জগতে আসা। মায়ের অনুপ্রেরণাই আমা’র লাইফের মেইন পয়েন্ট ছিল। বর্তমানে তিনি প্রফেশনালি গান করছেন। স্ট্যাডি ও গান দুটিই চালিয়ে যাচ্ছেন। বলেন, গান স’ম্পর্কে এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।
বিথী বলেন, ২০১২ সালে তিনি মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘রবি সেরা প্রতিভা’ রিয়েলিটি শো’তে টপ এইট চ্যাম্পিয়নশিপে ছিলেন সিলেট থেকে। বিথী চৌধুরী সিলেট জে’লার টুকুরবাজারের কুরুমখোলা গ্রামের মে’য়ে। এবং সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভা’র্সিটি থেকে ইংলিশে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছেন। পরিবারে বাবা, মা ও দুই বোনের মধ্যে বিথী বড়। গান নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গান নিয়ে আমা’র অনেক স্বপ্ন আছে। তবে প্রথমও তো আগে আমা’র স্ট্যাডিটা কমপ্লিট করবো। তারপর গানের প্রতি ফো’কাস দেবো। অনার্স শেষের পথে। এখন ইচ্ছে আছে সিলেটের যে লোকগীতি পুরো বাংলাদেশ ও বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয়ার। আমি চাই আমা’র সিলেট’কে রিপ্রেজেন্ট করতে পুরো বিশ্বের কাছে। আমা’র বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে শেয়ার করার পর হঠাৎ গানটি এভাবে ভাই’রাল হয়ে যাবে তা ভাবিনি। দর্শক গানটি এতো পছন্দ করছে। আসলে দর্শকের ভালোবাসায়ই গানটি ভা’ই’রা’ল হয়ে যায়। দর্শক এতোটা ভালোবাসবে, রেসপেক্ট করবে এটা আমি কখনো কল্পনা করিনি। আমা’র অকল্পনীয় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়া আমা’র লাইফে। আসলে কোন কিছু না ভেবেই গানটি ছেড়ে ছিলাম। কিন্তু বুঝিনি এতো তাড়াতাড়ি মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নেবো।