চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৫টি হাঁস চুরিকে কেন্দ্র করে ফজলুল করিম (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যাকারিয়া নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরসরাইয়ের ১৩ নং মধ্যেম মায়ানী ৫নং ওয়ার্ড এলাকার শেখ হামিদ মুহুরি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর পলাতক রয়েছে ওই যুবদল নেতা। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে জাকারিয়া জাহেদকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত বৃদ্ধ ও সন্ত্রাসী জাকারিয়া জাহেদ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। গত সোমবার জাকারিয়া তার চাচার ৫ টি হাঁস চুরির উদ্দেশ্যে নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখে।
চাচা ফজলুল করিম ফয়েজ হাঁস খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে যাকারিয়া দের ঘরে সন্দান পায়। এসময় যাকারিয়া হাঁস গুলো তাদের বলে দাবি করেন। তখন চাচা ফজলুল বলেন হাঁস গুলো বেঁধে না রেখে ছেড়ে দিতে।
ছেড়ে দিলে যার হাঁস তার ঘরে নিজে থেকে চলে যাবে। হাঁস গুলো ছাড়ার পর ফয়জুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে।
আজ সকালে যাকারিয়াকে দেখে ফয়জুল বলেন, কিরে হাঁস তো আমার বাড়ি চলে আসছে। ওই গুলো বেঁধে রাখছিলি কেন।
এটা বলার পর যাকারিয়া ক্ষেপে গিয়ে চাচা ফয়জুলের উপর হামলা করে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ফয়জুলের গলা টিপে ধরলে তিনি স্বাস বন্ধ হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন।
পরে বাড়ির লোকজন বৃদ্ধ ফজলুল করিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বৃদ্ধের ছেলে ব্যংকার সাফায়েত ইকবাল বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন তিনি’।
হত্যার বিষয় নিশ্চিত করে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফনের পর এজাহার জমা দিলে মামলা নথি ভুক্ত করা হবে। হত্যায় অভিযুক্ত জাকারিয়া জাহেদকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।