তিনি জানান, অলিম্পিক সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তার সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, এরই মধ্যে টোকিওতে শুরু হয়ে গেছে প্যারা অলিম্পিকের পরীক্ষামূলক সাঁতার ইভেন্ট।
সময় ঘনিয়ে আসছে গ্রীষ্মকালীন টোকিও অলিম্পিকের। হাতে সময় নেই একশো দিনও। কিন্তু দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই যেনো জটিল হয়ে যাচ্ছে অলিম্পিক হওয়ার সম্ভাবনা।
একে তো করোনা মহামারী। তার ওপর এমন পরিস্থিতিতে দেশটির বেশির ভাগ নাগরিকই চান না নির্ধারিত সময়ে হোক অলিম্পিক আসর। কেউ চান টোকিও অলিম্পিক হলেও তা পেছানো হোক। আবার কেউ চান একেবারেই বাতিল করা হোক গ্রীষ্মকালীন এই অলিম্পিক।
কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি আইওসিও টোকিও অলিম্পিক কমিটি অটল তাদের সিদ্ধান্তে। তারা চান নির্ধারিত সময়েই গড়াক টোকিও অলিম্পিক গেমস। তাই অলিম্পিকের আগে আরো একদফা সভা অনুষ্ঠিত হলো দেশটির রাজধানীতে।
টোকিও অলিম্পিকের নির্বাহী কমিটির এই সভা শেষে গেমসের সভাপতি হাশিমোতো বলেন, যে সব বাঁধা এখনো রয়ে গেছে গেমস আয়োজনে তার সবই দ্রুত অতিক্রম করা হবে।
টোকিও অলিম্পিক্স সভাপতি সেইকো হাশিমোতো বলেন, ‘সময় কত দ্রুত চলে যায় বোঝাই যায় না। আর একশো দিনও বাকি নেই টোকিও অলিম্পিকের। অথচ করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি আরো অনেক বাঁধা এখনো রয়ে গেছে অলিম্পিক ঘিরে। অলিম্পিক সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে আর একটা দিনও নষ্ট করতে চাই না আমি।’
হাশিমোতো আরও বলেন, টোকিও অলিম্পিককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে। করোনার এই পরিস্থিতিতে আমরা এমন এক পর্যায়ে আছি যেখানে সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সব রকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
এদিকে, সরকারি বিধি নিষেধের কারণে চলতি মাসের শেষেই জানানো হবে সর্বোচ্চ কত জন দর্শক প্রবেশ করতে পারবেন স্টেডিয়ামে।
অলিম্পিক্স সভাপতি জানান, ‘সরকারি বিধি নিষেধের কারণে আমরা অনেক কিছুই চাইলেও পারবো না। আমরা আইওসি, আইপিসি, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট এবং টোকিও মেট্রোপলিটান গভর্নমেন্টের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ করছি। এমন হতে পারে দর্শক সংখ্যা কমিয়ে আনবো আমরা। আর চলতি মাসের শেষেই সে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এছাড়ও টোকিওতে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে টোকিও প্যারালিম্পিক্সের পরীক্ষমূলক ইভেন্ট। যেখানে সাঁতারে মিক্সড জোনে অংশ নিয়েছেন অ্যাথলেটরা।