তবে খরা আর গরম হাওয়ায় পটুয়াখালীতে নষ্ট হয়ে গেছে কোটি টাকার মুগডাল। এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। এ অবস্থায় সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে, লকডাউনের এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট থাকায় উৎপাদন কমার আশঙ্কা কৃষি বিভাগের।
চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে মুগডাল চাষ করেন কৃষকরা। আশা ছিল, এবারও মুগডালের বাম্পার ফলন হবে। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিল মাসজুড়ে অবিরাম খরার কারণে কৃষকের সে স্বপ্ন রূপ নিয়েছে হতাশায়। প্রায় ৬ মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং সেচ সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষেতেই পুড়ে গেছে অধিকাংশ ফসল।
কৃষকরা জানান, রোদ আর পোকার কারণে ডাল উৎপাদনে এবার পুরোই ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। উৎপাদনের যে খরচ তা তোলাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদিকে লকডাউনে শ্রমিক সংকট, অন্যদিকে মুগডাল ক্ষেতের ক্ষতিতে এবার ফলন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দীন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম এক লাখ ১৬ হাজারের বেশি মেট্রিক টন ডাল আমরা পাব। কিন্তু এ বছর মুগ ফসলের বাড়বাড়ন্ত কম হয়েছে। ফলে এ বছর কম উৎপাদন হবে।
জেলায় এবার মুগডাল চাষ হয়েছে ৯৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর বেশি।