বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মান্না বলেন, মার্চ মাসের শুরুতে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা গেলেও শেষ দুই সপ্তাহে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে পালনের জন্যই সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো কথা বলেনি। মূলত এই দু’টি অনুষ্ঠানই জাতিকে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির সামনে ফেলে দিয়েছে।
জনগণকে সতর্ক করার ক্ষেত্রে সরকার বিলম্ব করেছে এমন অভিযোগ তুলে মান্না বলেন, গত জানুয়ারিতেই দেশে করোনার ইউকে এবং সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। শুরুতেই জনগণকে সতর্ক না করে মার্চ মাস পর্যন্ত কেন চেপে রাখা হয়?
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে সরকার অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় করোনার সবশেষ পরিস্থিতি, সরকারের উদাসীনতা, দুর্নীতি ও করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করে মান্না বলেন, মানুষ বাঁচানোর চেয়ে বড় কোনো উন্নয়ন হতে পারে না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক অভিযোগ করেন, সরকারের প্রণোদনার অর্থ সব বড় বড় ব্যবসায়ীকে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের কোনো ধরনের ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, করোনার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকার মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল। ১০ মাস পার হলেও প্রণোদনার সেই অর্থ কৃষকের কাছে এখনও পৌঁছায়নি।