দেশটিতে প্রতি এক দশকে একবার আদমশুমারি করা হয়। জনসংখ্যা কমে যাওয়া এড়াতে চীনকে এখন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
আদমশুমারির ফল প্রকাশ করে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস)। গত বছরের এই শুমারি করা হলেও এখনো তার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
তবে এ নিয়ে রয়টার্স কথা বলতে চাইলে সাড়া দেয়নি এনবিএস। চীনে জনসংখ্যার এই পরিসংখ্যান খুবই স্পর্শকাতর। এ নিয়ে সরকারি দপ্তরগুলো একমত না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হবে না।
সেনজেনভিত্তিক পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ জিও জ্যাং বলেন, চীন যদি জনসংখ্যা কমে যাওয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করে, তবে তা অনেক বড় ঘটনা।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ অনুসারে ২০২৭ সালে চীনের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পারে। তবে তা মার্কেট ও নীতি নির্ধারকদের প্রত্যাশারও আগে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আদমশুমারির ফল ঘোষণায় এই দেরি কেন, তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলে আসছে, আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যা সম্ভবত কমতে থাকবে।
জনসংখ্যা বাড়াতে ২০১৬ সালে কয়েক দশকের এক সন্তান নীতি বাতিল করে দেয় চীন সরকার। দেশটিতে এখন দুই সন্তান নীতি চলছে।