কঙ্গনা রানাঘাটকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা অমরদীপ রানাওয়াত। সেই ঘটনার কথা নিজে মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর বাবা অমরদীপ।
কী এমন ঘটেছিল, যার কারণে কন্যাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। সত্যি জানলে চমকে উঠবেন।
হিমাচল প্রদেশের একটি ছোট্ট শহরের মেয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত। রাজপুত পরিবারের সন্তান। হিমাচলের পাহাড়ি সেই শহরেই বড় হয়েছেন। পরিবারের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই লেখাপড়ার দিকে তাঁর ন্যাক তৈরি করতে চেয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু কঙ্গনার স্বপ্ন ছিল অন্য। তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ অন্যভাবে দেখতে চেয়েছিলেন জীবনে।
যদিও এই স্বপ্ন দেখার জন্য তাঁর বাবা অমরদীপই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছিলেন শুরুতে। কিন্তু স্বপ্ন সত্যি করার সময় তিনি পিছনে সরে যান। কন্যার হাত ছেড়ে দেন। কিন্তু মেয়েও নাছোড়বান্দা ছিলেন।
নিজের লক্ষ্য থেকে কিছুতেই পিছ পা হননি। ফলে বাড়ির হাজার অমত সত্ত্বেও অভিনয় পেশাকেই গ্রহণ করে নিয়েছিলেন কঙ্গনা।
মেয়ে সিনেমায় অভিনয় করবে, তা কঙ্গনার কট্টরপন্থী পরিবার কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। সমাজের কে কী বলবে, সেই ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাবা-মাও সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিল কঙ্গনার।
একটা সময় নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন কঙ্গনা। বাবা-মাকে বলেছিলেন, তিনি অভিনয়টাই করতে চান। চন্ডীগড়ে তাঁর পড়াশোনা করার সমস্ত পরিকল্পনাকে ধুলিস্যাৎ করে মুম্বই চলে এসেছিলেন রানাওয়াত পরিবারের এই সাহসিনী। এবং এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরই তাঁর বাবা অমরদীপ ভয়ানক চটে গিয়েছিলেন কন্যার উপর।
ভয়ানক রেগে মেয়েকে খুন করতে চেয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “আমার পিস্তলটা নিয়ে আসো তো। আজই আমি কঙ্গনার মাথায় গুলি করে ওকে খুন করব”। এই কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু রাজপুত অমরদীপ এমনটা করতে পারেননি।
শুরুর দিকে কঙ্গনার মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের স্ট্রাগল করার সময় পরিবারের কোনও সাহায্যই পাননি কঙ্গনা। ফলে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার আরও বেশি জেদ চেপে গিয়েছিল তাঁর মনে।
ধীরে-ধীরে নিজের লক্ষ্যের দিকে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। কঙ্গনার সেই বাবাই আজ দারুণ খুশি মেয়ের উপর। অতীতকে ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। মেয়ে এখন সফল অভিনেত্রী, তা নিয়ে গর্ব করেন সকলের কাছে।