পুলিশি অভিযানে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে ডবলমুরিং থানা কার্যালয়ে আসেন দুদকের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান আজাদ। তিনি জানান, মামলা সংক্রান্ত পরামর্শের কথা বলে জিম্মি করা হয়েছিল তাকে। মুক্তিপণ নিতে মারধরও করা হয়েছে।
আইনজীবীকে উদ্ধারের পাশাপাশি এই জিম্মি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয় দুজনকে। এর মধ্যে আটক হওয়া হীরা ওরফে সোনিয়া একটি হত্যা মামলার আসামি। এ ধরনের জিম্মি করা একজনকে বহুতল ভবনের ৬ তলা থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দুজনই স্বীকার করেছে, নগরীর বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে তাদের গোপন আস্তানা। আবার এসব আস্তানার নেতৃত্বে রয়েছে বেশ কয়েকজন নারী। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হলেও দলের প্রধান নারীরাই তাদের জামিনে মুক্ত করে আনে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান, আটককৃত সোনিয়া এবং ইমরানের বিরুদ্ধে ৩টি করে মামলা রয়েছে। গত কয়েক বছরে এই চক্রটি অন্তত ৫০ জনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করেছে।