নানা কটূক্তি আর ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে স্বপ্নযাত্রা ২০১৪ সালের শেষের দিকে। দীর্ঘ এই পথচলায় হাজারো মানুষের কঠোর শ্রম আর একনিষ্ঠতায় এক সময়ের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। পুরোপুরি দৃশ্যমান, স্বপ্নসেতু পদ্মা।
চারিদিকে কোভিড সংক্রমণের ভীতি, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত জীবন জীবিকা। তবু এক মুহূর্তের জন্য থেমে নেই নির্মাণযজ্ঞ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পদ্মায় কাজ চলছে তিন শিফটে। প্রমত্তা দুই পাড়ের সংযোগ স্থাপনের স্বপ্ন পূরণের পর মানুষ এবার ক্ষণ গুনছে সেতু পারাপারের।
সেতুতে সমানতালে চলছে রোডওয়ে এবং রেলওয়ের স্ল্যাব বসানোর কাজ। এছাড়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে, ভায়াডাক্ট, প্যারাপেট ওয়াল, গ্যাস পাইপ লাইন, পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইনসহ আরো অনেক কর্মযজ্ঞ। এই মুহূর্তে মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৩.২৫ শতাংশ, নদী শাসন ৮৩ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি ৮৫.৫০ শতাংশ।
নানা প্রতিকূলতায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করার আশাবাদ কর্তৃপক্ষের।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রোডওয়ে স্ল্যাবের ৪১ টার মধ্যে বসানো হয়ে গেছে রেলেরও ৩৫টির মত বসানো হয়ে গেছে। প্যারাপেট ওয়ালের কাজ আমাদের ৭০ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি কিছু স্লো। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাজটাকে চলমান রাখা। আমরা নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ করব।’
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান পদ্মাসেতুর প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হলেও বাড়েনি খরচের পরিমাণ।