কর্ণফুলী রক্ষায় শত শত মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশ গ্রহনে মশাল মিছিল নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চ।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিলটি ফিরিঙ্গীবাজারের অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে লালদিঘি পাড় প্রদক্ষিণ করে কোতোয়ালি থানা চত্বরে সমাপ্ত হয়। এসময় পুরো এলাকা প্রতিবাদের শ্লোগান ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে।
মশাল মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে একেএম সরওয়ার কামাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পট পরিবর্তনকারী জ্যাকপট অপারেশনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল কর্ণফুলীর ঘাট এবং সাম্পান মাঝিদের।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কর্ণফুলীর ঘাট তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা করা হচ্ছে। এই অন্যায় কিছুতেই মেনে নেয়া হবে না। স্ট্রেটেজিক মাস্টার প্ল্যান ও হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে আমরা বন্দর ও ডিসি কার্যালয় ঘেরাও করবো।
প্রতিবাদ মঞ্চের আহবায়ক ডাক্তার মাহফুজুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের স্বার্থে জনগণের কথা শুনে না এমন সরকারি কর্মকর্তারা দেশের মঙ্গলে কাজ করেনা। তারা নিজেদের আখর গুছাতে ব্যস্ত। আমরা আপনাদের মুখোশ উন্মোচন করবো।
সংস্কৃতি কর্মী দিলরুবা খানম ছুটির সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রতিবাদ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আলীউর রহমান, সংগঠক রাজনীতিবিদ মিতুল দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার চট্টগ্রাম সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, নারী নেত্রী হাসিনা আকতার টুনু, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম বাপ্পী, চট্টগ্রাম সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, শিক্ষিকা রোপি দাশ, রোজী চৌধুরী, রুপনা দাশ, এম শাহাদাত নবী, চরপাথরঘাটা সাম্পান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আবুল।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও আরএসকে ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা ব্যাতিক্রমী এ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।