ক্রিকেটার নাসির হোসেনসহ তিনজন আ’সামির বি’রুদ্ধে গ্রে’ফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্ম’দ জসীমের আ’দালতে তিনি এ আবেদন করেন। রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রে’ফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেছি। আ’দালত নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মা’মলার আ’সামিরা হলেন- নাসির হোসা্ইন, স্ত্রী’ তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার শ্বাশুড়ি সুমি আক্তার। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রী’কে বিয়ে করার অ’ভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বি’রুদ্ধে করা মা’মলা’টি পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ত’দন্তের নির্দেশ দেন আ’দালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্ম’দ জসীমের আ’দালতে তামিমা’র সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মা’মলা করেন।
রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আ’সামি তামিমা সুলতানার ইস’লামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী’ হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মে’য়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ৮ বছর। মা’মলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্ম’রত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মা’র্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামা’রির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হইলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।
মা’মলায় বলা হয়, ‘চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা’র সঙ্গে ২ নং আ’সামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন।’এ ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।
মা’মলার অ’ভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের স’ম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে সম্পূর্ণ বিষয়টি স’ম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের স’ম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমা’র নাসিরকে বিয়ে করা যা ধ’র্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অ’বৈধ। আ’সামির সঙ্গে তিনি অ’বৈধ বিয়ের স’ম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক স’ম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।’ অ’ভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আ’সামিদের এরূপ অ’নৈতিক ও অ’বৈধ স’ম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শি’শু কন্যা মা’রাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আ’সামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা বাদীর জন্য অ’পূরণীয় ক্ষতি।’