তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের একজন সাহিত্যিক ও চিকিৎসক। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজনউদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করে তসলিমা এই শতকের শেষের দিকে নারীবাদী ওধ’র্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।
ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, ফেসবুকে শিং মাছের মতো দেখছি প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমনির বি’রুদ্ধে কুৎসিত সব গালাগালি। কোনো মে’য়ের বি’রুদ্ধে যখন লোকেরা ক্ষেপে ওঠে,
তাকে দশদিক থেকে হা’মলা করতে থাকে, এমন উন্মত্ত হয়ে ওঠে যেন নাগালে পেলে তাকে ছিঁড়ে ফেলবে, ছুঁড়ে ফেলবে, পুড়িয়ে ফেলবে, পুঁতে ফেলবে, ধ’র্ষণ করবে, খু’ন করবে, কুচি কুচি করে কে’টে কোথাও ভাসিয়ে দেবে, তখন আমা’র ধারণা হয় মে’য়েটি নিশ্চয়ই খুব ভালো মে’য়ে, সৎ মে’য়ে, সাহসী মে’য়ে, সোজা কথার মে’য়ে।
তসলিমা আরও লিখেছেন, আমা’র নিজের জীবনের অ’ভিজ্ঞতা এটাই বলে। বাংলাদেশের সিনেমা আমি দেখি না। পরীমনির নামও আগে শুনিনি। তবে তাকে আমি দূর থেকে আমা’র শ্রদ্ধা আর
ভালোবাসা জানাচ্ছি। সব মে’য়ে স্ট্রাগল করে না, কিছু মে’য়ে করে। কিছু মে’য়ে স্ট্রাগল করে সব মে’য়ের জন্য যুগে যুগে বেটার পরিস্থিতি আনে। এই স্ট্রাগল করা কিছু মে’য়েই এক একেকটা মাইলফলক।