16.2 C
Chittagong
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামফেনী-চট্টগ্রামে ৬ কিশোরগ্যাংয়ের প্রধানসহ ২৮ জন গ্রেফতার

ফেনী-চট্টগ্রামে ৬ কিশোরগ্যাংয়ের প্রধানসহ ২৮ জন গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ এসব গ্রুপের ২৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এরমধ্যে ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকা থেকে এসডিকে গ্রুপের প্রধান মো. রাব্বি (২০), মো. তৌহিদুল প্রকাশ সাগর (১৭), মো. ফখরুল (২০)সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এলাকা থেকে নুরু গ্রুপের সদস্য মো. রাকিব উদ্দিন তামিম (১৯), মো. আহাদ আলীফ (১৯), গোপাল ত্রিপুরা (২২), আবরার হান্নান মোহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (২০), সুব্রত বড়ুয়াসহ ৬ জন।

একই ধানাধীন আমিন কলোনী এলাকা থেকে রশিদ গ্রুপের প্রধান মো. হারুনুর রশিদ (২১), মো. মুন্না (২২), মেহেদী হাসান মুন্না (২০), মো. মনির (২০), ফারহাদ (২৪), আসিফ, রাশেদ ওরফে রাসেলসহ ৭জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এদিকে পৃথক আরেক অভিযানে বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকা হতে ইউসুফ গ্রুপের প্রধান মো. ইউসুফ (২১), এমরান হোসেন বাবলু (২৩), মো. জামাল উদ্দিন (৩৮), মো. সাখাওয়াত হোসেন শাকিল (২৪), মো. মনির উদ্দিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তাছাড়া নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় এলাকা থেকে সাদ্দাম গ্রুপের প্রধান মো. রকিবুল হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬), মো. সাব্বির হোসেন (২০), মো. আলাউদ্দিন (২০), মো. মাসুদুর রহমান অপু (২৬), মো. রায়হান (২২), মো. জাকির হোসেনসহ ৬ জন সদস্যসহ মোট ২৮ জনকে কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র‍্যাব কর্মকর্তাদের জানায়, কিশোর গ্যাং গ্রুপ চট্টগ্রাম নগরী ও ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।

তারা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় এলাকার একটি চক্রের মদদ রয়েছে। মূলত ‘হিরোইজম ও বড় ভাই কালচার’ প্রকাশ করতে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার অন্যতম কারণ।

সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতার আসামি মো. ইউসুফ, মো. এমরান হোসেন বাবলু, মো. রকিবুল হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. রায়হান এবং মো. জাকির হোসেনদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া, আকবারশাহ, চান্দগাঁও এবং পাহাড়তলী থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবং নাশকতা সংক্রান্ত ৮টি মামালার তথ্য পাওয়া গেছে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, গ্রেফতারকৃত কিশোরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।