12.4 C
Chittagong
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকএকাধিক অগ্নুৎপাতে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া

একাধিক অগ্নুৎপাতে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে ছাই ও শিখা বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। ইন্দোনেশিয়া আকাশে ছাই উড়ছে এখনও। পর পর একাধিক অগ্নুৎপাতে বিপর্যস্ত দেশটি।

উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত রুয়াং আগ্নেয়গিরির পর এবার প্রত্যন্ত ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ হালমাহেরায় একটি আগ্নেয়গিরি থেকে সোমবার ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে।

যার দরুণ, আকাশে ছয় কিলোমিটার ধূসর ছাইয়ের মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্থানীয় সময় রাত ৩ টের সময় বিস্ফোরণ ঘটেছেল।

দেশটির আগ্নেয়গিরি সংস্থা তাই, স্থানীয় বিমান কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাস থেকে আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের বৃদ্ধি লক্ষ্য করার পরে এই মাসে একটি সিরিজ অগ্ন্যুৎপাতের সাক্ষী থেকেছে। যার ফলে আগ্নেয়গিরির আশেপাশের সাতটি গ্রাম থেকে লোকজনও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত রুয়াং আগ্নেয়গিরির ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে ছাই ও আগুনের শিখা দেখা গিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া আগেই একটি প্রাদেশিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। ভলকানোলজি এজেন্সি সতর্কতা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এলাকা থেকে ৮০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

বিমান কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সতর্ক করার পর বাজেট এয়ারলাইন এয়ার এশিয়া পূর্ব মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের নয়টি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল করেছিল।

কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরির চারপাশে ছয় কিলোমিটার এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে এবং আরও বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী দ্বীপ তাগুলান্দাং থেকেও এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে আগ্নেয়গিরির কিছু অংশ সমুদ্রে পতিত হতে পারে, যার ফলে ১৮৭১ সালের মতো বিশাল সুনামি আবারও ধেয়ে আসতে পারে। এ কারণে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য ১৮৭১ সালে, আগ্নেয়গিরির পূর্বে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। তাই এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ। সে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন এবং সমুদ্রে যে কোনও ধরনের কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সরকার ও বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা পরিস্থিতির দিকে সবসময় নজর রাখছে।