দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০ দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর আবার আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি শুরু করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে হিলি স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক এসোয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২০ দিন আগে দেশের পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় একজন আমদানি কারক প্রাথমিকভাবে গত ১৪ মে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন।
মজুতদার ব্যবসায়ীরা এই আমদানির খবর পেয়ে সাময়িকভাবে তাদের মজুদে রাখা পেঁয়াজ ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের বাজার আবার বেড়ে যায়। ফলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা আবারো ভারতকে পেঁয়াজ জামদানি সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন হিলি বন্দরের প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানি-কারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
আমদানি-কারক প্রতিষ্ঠানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে হঠাৎ করে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
লোকসানের আশঙ্কা থাকায় গত ২০ দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাওয়া যায়, তবে আমদানি অব্যাহতের পাশাপাশি ঈদের আগে আমদানি আরও বাড়বে।’ ফলে সাধারণ ক্রেতারা তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজ ক্রয় করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪মে তুলে নিয়ে ৪০% শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০% শতাংশ শুল্ক দিয়ে গত ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক।
এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ২ টাকার মতো।
ফলে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি ধরে আমদানি কারকদের পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৬৫টাকা কেজি ধরে বিক্রি করলে বাজারে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এই ধারা বাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমদানি কারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ জামদানি অব্যাহত রাখতে পারবে।