28.9 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গা দখল নিয়ে দ্বন্ধ: যুবককে চুরিকাঘাত

চট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গা দখল নিয়ে দ্বন্ধ: যুবককে চুরিকাঘাত

চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার গোয়ালপাড়া ব্রজধাম মন্দিরের পাশে রেলওয়ে সরকারি জায়গা দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রদীপ দাশ (৩৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।

তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরে আহত হয়েছেন প্রদীপ দাশের স্ত্রী ও সন্তানরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও আজ বুধবার কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

ছুরিকাহত প্রদীপ দাশ রেলওয়েতে পাহাড়তলী ডিআরএমও অফিসে পোর্টার হিসেবে কর্মরত। আহত অনান্যারা হলেন-প্রদীপ দাশের স্ত্রী কাজলি দাশ (৩৫), মেয়ে দেবী দাশ (১৬) ও ভাইয়ের স্ত্রী সিন্তী দাশ (৩৮)।

থানার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গোয়ালপাড়া ব্রজধাম মন্দিরের পাশে রেলওয়ে সরকারি ২৪ কোয়ার্টার এলাকায় প্রদীপ দাশের বাসা রয়েছে। ওই বাসার সামনে খালি সরকারি জায়গাটি তিনি ব্যবহার করে আসছে।

জায়গাটি কারো নামে বরাদ্দপত্রও নেই। স্থানীয় রানা দাশ (৩০) ও কিছু ভূমিদস্যুচক্র জায়গাটি বেদখল করতে দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে।

গত ২৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে একদল সন্ত্রাসীসহ রানা দাশ গোয়ালপাড়া ব্রজধাম মন্দিরের পাশে প্রদীপ দাশকে একা পেয়ে হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রী কাজলি দাশ, মেয়ে দেবী দাশ ও ভাইয়ের স্ত্রী সিন্তী দাশও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।

এ ঘটনায় আজ ২৬ জুলাই কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে প্রদীপ দাশ। এতে রানা দাশ, তার স্ত্রী তমা দাশ এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদি প্রদীপ দাশ বলেন, আমার কোয়ার্টারের সীমানা প্রচীরের টিনের বেড়া ভেঙ্গে তারা জায়গাটি দখলের জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছিল। আমি তাদের অনৈতিক চাপের কাছে নতিশিকার না করায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। আমার পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। এলাকার লোকজন এগিয়ে না আসলে আমাকে তারা খুন করে ফেলতো।

প্রদীপের স্ত্রী কাজলি দাশ বলেন, মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা হুমকি দিচ্ছে। তারা বাড়ির সামনে অচেনা যুবকদের নিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি।