চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চলন্ত অবস্থায় চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
একপর্যায়ে বাসটি আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে ঢাকমুখী লেন থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনের ওপর আছড়ে পড়ে।
এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন বাসের ভেতরে থাকা আরও ১৪ যাত্রী।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টায় ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে গুরুতর তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার মো. মোস্তফার ছেলে মো. আরিফ (৩০), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল মেতালেব (৫২) ও ফেনীর সোনাগাজী থানার কমল চন্দ্র নাথের ছেলে স্বপ্না রানী (৪৯)। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতিতে আসা স্টার লাইন পরিবহনের বাসটির চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে বাসটি সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে উল্টে ঢাকমুখী লেন থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনের ওপর আছড়ে পড়ে।
এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় বাসে থাকা আরও ১৪ জন যাত্রী।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন। দুর্ঘটনার পর আগ্রাবাদ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে গাড়ি আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে দুর্ঘটনা পরবর্তীতে হাইওয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে উল্টে পড়া বাসটিকে রেকার দিয়ে সরিয়ে নিলে যানজট স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে যাচ্ছিল। বাসে ১০-১৫ জন যাত্রী ছিল বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। চাকা ফেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি।