কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। রেবাবার (২৮ আগস্ট) বিকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি মর্টার এসে পড়ে। এর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি ইতোমধ্যে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরাকান আর্মি এবং মায়ানমার আর্মির মধ্যে এ সংঘাত চলছে। সীমান্তের ৩৮ নম্বর পিলার থেকে ৪১ নম্বর পিলার পযর্ন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার অঞ্চলে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। এ ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
ঘুমধুম সীমান্তে নিয়োজিত ৩৪ বিজিবি সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নো ম্যানস ল্যান্ডে কাউকে যেতে দিচ্ছে না বিজিবি। কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
বিদ্রোহীদের দমনে মিয়ানমারের সেনা সদস্যসহ বিশেষ একটি বাহিনী সীমান্তের ওয়ালিদং পাহাড়ের পেছনে লেমশি ও বদলা নামক গ্রামের পাহাড়ি এলাকার আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে প্রথমে আক্রমণ করে। এর পরপর এ আক্রমণ ঠেকাতে আরকান আর্মি কৌশলগতভাবে পুরো ১৬ কিলোমিটার অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ বিষয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিষয়ে সাধারণত আমরা প্রতিবাদ করে থাকি। এবারও কড়া প্রতিবাদ করবো, যেন বাংলাদেশের ভেতরে এ ধরনের বিষয় আর না ঘটে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সীমান্তের মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুমধুম রেজু রড়ইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ক্লাস চলার সময় বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানাচ্ছেন, গোলাগুলির শব্দে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বসে কাজ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে খুব আতঙ্কে আছেন বলেও জানান এ জনপ্রতিনিধি।
ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সোহাগ রানা জানান, বিষয়টি শুনেছেন তারা। তবে যেহেতু সীমান্তের বিষয়, তাই বিজিবি সেখানে কাজ করছে।
/এডব্লিউ