খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার লেনুয়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (৩৪)। দীর্ঘদিন ধরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান ও উপস্থাপনাও করেন বেল্লাল।
সে সুবাধে আঞ্চলিক নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পোশাক কারখানায় কর্মরত সহজ সরল মেয়েদের মন গলিয়ে তার নৃত্যদলে যুক্ত করে নেন।
পরে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিউটি পার্লার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। কেউ টোপ গিললেই তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে তাদেরকে পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত পার করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। এভাবেই একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছিলেন বেল্লাল।
তবে শেষমেষ র্যাবের পাতা জালে ধরা পড়েছে মানবপাচারের মূলহোতা বেল্লাল হোসেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) লক্ষ্মীপুরের সদর থানার সানকিভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, এর আগে ২৪ জুন ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক নারী চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় তিনি চারজনের নাম উল্লেখ করেন। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ঝুমু নামে এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সেখানে তিনি মানবপাচার সিন্ডিকেটের প্রধান বেল্লালের নাম উল্লেখ করেন। এরপর র্যাব অভিযানে নেমে বেল্লালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উল আলম বলেন, মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে বেল্লাল এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তিনি যশোর জেলার সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন সানকিভাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
গোপন সোর্সের তথ্যমতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) লক্ষ্মীপুরের সদর থানার সানকিভাঙ্গা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারীদের মূলহোতা বেল্লালকে গ্রেফতার করা হয়।