28.9 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদঅর্থ-বাণিজ্যঋণসংকটে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি!

ঋণসংকটে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি!

অর্থনীতি ডেস্ক :

বড় ধরনের ঋণসংকটে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বের সব দেশের সম্মিলিত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ লাখ কোটি ডলার। এই অঙ্ক বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় সমান।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিপুলপরিমাণ ঋণ মানুষের জীবনে বড় চাপ তৈরি করছে। ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা।

জনগণ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনা দিতে বিশ্বের সব দেশই ঋণ করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, ক্রমবর্ধমান এই ঋণের বোঝার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশেও। চলতি বছর বিশ্বের অনেক দেশেই সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে।

দেখা যাচ্ছে, এসব দেশের রাজনীতিকরা ঋণসমস্যা একরকম উপেক্ষা করে যাচ্ছেন, অর্থাৎ ঋণের রাশ টানতে যে কর বাড়াতে হবে বা ব্যয় হ্রাস করতে হবে, সে বিষয়ে তারা ভোটারদের সঙ্গে সততার পরিচয় দিচ্ছেন না।

ক্ষেত্রবিশেষে এই রাজনীতিকরা এমন এমন অঙ্গীকার করছেন যে, তার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির সূচক আবারও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বা নতুন কোনো আর্থিক সংকট তৈরি হতে পারে।

দেশে দেশে ঋণ বাড়ছে। এর অর্থ হলো ঋণের সুদ ও আসল বাবদ সরকারের ব্যয়ও বাড়ছে। সরকারের আয়ের বড় অংশ সুদ ও আসল বাবদ ব্যয় হয়ে গেলে জরুরি সেবা যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমে যায়।

সেই সঙ্গে মহামারি ও যুদ্ধের মতো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ থাকে না। সরকারি বন্ডের সুদ বাড়লে বাজারেও তার প্রভাব পড়ে। বন্ডের সুদ বাড়লে বন্ধকি ঋণের সুদহারও বাড়ে, তখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে ঋণ করতে হয়।

এতে যেমন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার খরচ বেড়ে যায়, তেমনি ব্যক্তি মানুষেরও ব্যয় বেড়ে যায়। ঋণের সুদহার বাড়লে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে ভাটা পড়ে।

সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকটের সময় সরকারের পক্ষে ঋণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করাও কঠিন হয়। এসবের ফল হলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া।