14.4 C
Chittagong
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারাদেশবিপৎসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি!

বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি!

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

যদিও এখনও বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রোর্কড করা হয়। অর্থাৎ তিন ঘণ্টায় পানি বেড়েছে দ্বিগুণ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।

এ দিকে গত জুন মাস থেকে তিস্তায় পানি বাড়ায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল জেলার ৫ হাজার মানুষ। তবে তিস্তা পানি বিপৎসীমার ওপরে কখনো যায়নি। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে অনেক উঠতি ফসল ঘরে তুলতে পারেনি চরাঞ্চলের কৃষকরা।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পাশে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে চন্ডিমারী বাঁধে ধস দেখা দেয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাহাদুর পাড়া, চন্ডিমারী, আরাজি ছালাপাকসহ কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের বাহাদুর পাড়া গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।