28.9 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামপুলিশের এসআই সেজে প্রতারণা,বন্দর কর্মচারী গ্রেফতার

পুলিশের এসআই সেজে প্রতারণা,বন্দর কর্মচারী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম বন্দরের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগে গ্রিজার পদে চাকরি করেও সন্তুষ্ট নন খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ ওরফে বায়েজিদ।

আর তাই সহজ আয়ের পথ বেঁচে নিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে বন্দর থানা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম দাবি করে বন্দর ভবনের আশপাশ থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকায় শুরু করেন চাঁদাবাজি।

তবে এক বিকাশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়েই পুলিশ সেজে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অধ্যায় শেষ হয়েছে। ধরা পড়লো আসল পুলিশের হাতে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে বন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ বায়েজিদ (৩৭) চট্টগ্রাম বন্দরের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগে গ্রিজার পদে কর্মরত। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। বাসা চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটে বন্দর আবাসিক কলোনিতে।

বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কিশোর মজুমদার বলেন, বন্দরের চাকরিজীবী বায়েজিদ দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বন্দর থানার এসআই পরিচয় দিয়ে মানুষের থেকে চাঁদা দাবি করতো। সবশেষে মাদকসেবনের অভিযোগ দুই ব্যক্তিকে তুলে আনার ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আসে।

অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর থানার এসআই রাজ্জাকুল ইসলাম রুবেলের নের্তৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার জানান, বায়েজিদ বন্দর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে নগরীর ফকিরহাট এলাকায় নুরে আজমির রেস্তোঁরার মালিক মো. মহিউদ্দিনের কাছ থেকে দুই হাজার চারশ টাকা হাতিয়ে নেন।

তার পাশের জসিম নামে আরো এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশে সাত হাজার টাকা নেন। টাকা না পেয়ে জসিম রফিকুলের খোঁজে থানা এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ নামে থানায় কোন এসআই নেই জানার পর ভুক্তভোগী জসিম শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত বায়েজিদের অবস্থান শনাক্তের পর বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে টিম বন্দর।

শনিবার দুপুরে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।