13.4 C
Chittagong
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদবিনোদনঅমিতাভ বচ্চন এই বয়সেও এত ফিট কিভাবে?

অমিতাভ বচ্চন এই বয়সেও এত ফিট কিভাবে?

বিনোদন ডেস্ক :

সম্প্রতি আলোচিত বলিউড সিনেমাগুলোর একটি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। মুক্তির ১২ দিনের মাথায় শুধু ভারতেই এ সিনেমার আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি।

নির্মাতা নাগ অশ্বিনের সিনেমাটিতে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে দেখা গেছে বহুল আলোচিত অশ্বত্থামা চরিত্রে।

‘কল্কি’র একাধিক অ্যাকশন দৃশ্য যে দাপটের সঙ্গে করেছেন বিগ বি, তাতে চমকে গিয়েছেন দদর্শকেরা। কিন্তু এই বয়সেও এত ফিট থাকার রহস্য কী? অমিতাভ বচ্চনের এই ফিটনেসের রহস্য ফাঁস এবার করলেন বৃন্দা ভট্ট এবং শিবোহম নামে দুই ফিটনেস-ট্রেনার।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বৃন্দা ভট্ট জানিয়েছেন কেন এবং কোথায় বিগ বি অন্যদের চেয়ে আলাদা।

তার কথায়, “অনেকে বলেন, ‘সময় নেই বলে শরীরচর্চা করতে পারি না।’ কিন্তু হাজার কাজ থাকলেও অমিতাভ বচ্চন ঠিক সময় বার করে নেন। ভাল কিছু যদি এক বার ওঁর মাথার ঢুকে যায়, তা হলে ওঁকে থামানোই মুশকিল।”

জানা গেছে, গত ২৪ বছর ধরে বৃন্দা ভট্ট এবং শিবোহমর তত্ত্বাবধানেই শরীরচর্চা করেন অমিতাভ বচ্চন। অভিনেতাকে এই বয়সেও শরীরচর্চার পাঠ দেন এই ফিটনেস প্রশিক্ষক দম্পতি। বিগ বি ছাড়াও বলিউডের বড় বড় আরো কয়েকজন তারকার ফিটনেস ট্রেনার এই দম্পতি।

কিন্তু গত ২৪ বছর বিগ বি-র কাছ থেকে বৃন্দা ভট্ট এবং শিবোহম কী শিখেছেন? নিয়মানুবর্তীতা এবং সময়জ্ঞান। এই দু’টি গুণের জন্য অমিতাভ এখনও এখনও এক নম্বরে। জবাব ওই দম্পতির। অমিতাভের কাছ থেকে তারা সময়ের মূল্য বুঝতে শিখেছেন।

বৃন্দা জানিয়েছেন, সাধারণত সকাল ৬টা থেকে শরীরচর্চা শুরু করেন অমিতাভ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটা ৬টা থেকে ৬টা বেজে ১ মিনিট হয়নি! বরং কোনও কারণে কোনও দিন প্রশিক্ষণে আসতে না পারলে আগে থেকে জানিয়ে দিতেন বচ্চন। কোনও কাজ থেকে ফিরতে দেরি হলেও অনেক আগে থেকে খবর দিয়ে দেন।

এদিকে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায় অশ্বথামা হিসেবে অমিতাভের লুক ছিল দুর্দান্ত। সাদা চুল-দাঁড়ি, চোখের নীচে গাঢ় কাজল আর কপালে হলুদ টিপ। প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্যে অমিতাভ থেকে অশ্বত্থমা হয়ে উঠেছিলেন বিগ বি।

প্রতিদিন সেটে তিন থেকে চার ঘণ্টা মেক আপ করতে হত অমিতাভকে। ৮১ বছর বয়সী একজনের জন্য যা খুব একটা সহজ নয়। তাই সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে অশ্বত্থমার চরিত্রে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের তাই প্রশংসা করতেই হয়।