কোন ধরনের কাগজ বা সার্টিফিকেট কিছুই নেই তার। তবুও তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ। চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা সদরের জলিলনগর বাসস্ট্যান্ডের আবসার মার্কেটে খুলেছেন চেম্বারও।
নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দাবি করে ভিশন সেন্টার নামক ওই চেম্বারেই দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চক্ষু চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন পুলক কান্তি দে।
চিকিৎসা শেষে সিলযুক্ত কোন প্রেসক্রিপশন না দেয়ায় অনেক রোগীর সন্দেহ হয়। তবে কেউই ঘটনাটি প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছিলেন না।
তবে কথাই আছে চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। ঠিক সেটাই হয়েছে। গত রবিবার (৭ জুলাই) উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় লাকী চৌধুরী নামে এক ইউপি সদস্য এ চিকিৎসকের বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বলেন, পুলক নামে এ চিকিৎসকের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রকৃত চিকিৎসক কিনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
আর লাকীর এ অনুরোধ কাল হয়ে দাড়ালো পুলকের জন্য। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ চক্ষু বিশেষজ্ঞের চেম্বারে হানা দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও রাউজান থানা পুলিশের টিম সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নের্তৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যাজাই মারমা।
তিনি জানান, অভিযুক্ত পুলক কান্তি দে মূলত একজন ল্যাব সহকারী। কিন্তু সে নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক দাবি করে জলিলনগরে চেম্বার খুলে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখে অর্থ আদায় করে আসছিল।
তবে অভিযানে বেশি বেগ পেতে হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ভুয়া চিকিৎসক।
ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়ে ভুয়া এ চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যাজাই মারমা।