ঘাড়ে গরম নি:শ্বা’স ফেলছে করো’না ভাই’রাস। সর্বনাশা এই মহামা’রি ঠেকাতে সরকার দিয়েছে নানা বিধিনিষেধ। তাতে কি?
ঝুঁ’কি নিয়েই চলছে ঈদযাত্রা। বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা যে যেভাবে পারছেন ছুটে চলছেন। সবার গন্তব্য গ্রামের বাড়ি। আর একদিন বাদেই যে ঈদ!
লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ। তাই ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা দিয়ে মানুষ বাড়িতে ছুটে চলছে। সামনে বাবা, পেছনে মা, মাঝে ঘুমন্ত শি’শুকে নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মোটর সাইকেল। অথবা ট্রাকের পেছনে ত্রিপলের ছাউনির নিচে গোটা পরিবার।
এসব দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়লেও এবার দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। পণ্য পরিবহনের কন্টেইনারকে বেছে নিয়েছেন মানুষ। বুধবার রাজেন্দ্রপুর থেকে কিশোরগঞ্জগামী সড়কের কাপাসিয়া পেরোতে কন্টেইনারবাহী লরিতে যাত্রী পরিবহনের এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে ।
কন্টেইনারের ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার মধ্যে নারী, পুরুষ, শি’শুতে ঠাসা। প্রচন্ড রোদের মধ্যে ছোট্ট কনটেইনারে গরমে সবাই হাঁসফাঁ’স করছে । কন্টেইনারের পেছনের একটি দরজা খোলা। কোনো কারণে এটা কিছু সময় বন্ধ হলে অক্সিজেনের অভাবে মা’রা যাওয়ার শ’ঙ্কাও আছে। আবার কন্টেইনার খোলা রাখার কারণে সড়কে উচু নিচু জায়গায় ব্রেক কষার কারণে ছিট’কে পড়ে দুর্ঘ’টনাও ঘটতে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে এতটাই ঝুঁকি নিচ্ছে মানুষ ।
করোনাভাই’রাসের মহামারির কারণে সারাদেশে লকডাউনের কারণে বাড়িফেরা মানুষগুলো অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে ।
প্রসঙ্গত, করো’না সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে লকডাউন চলছে। ১৬ মে পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে। এই সময়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্ত ঈদযাত্রার দৃশ্য দেখলে বোঝা যায় সেই নির্দেশনা থোরাই তোয়াক্কা করছেন লোকজন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সব বাধা পেরিয়ে অবিরাম ছুটে চলছেন গ্রামের দিকে।