15.6 C
Chittagong
রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। দেখা দিয়েছে মানুষের দুর্ভোগ।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, আরও দুয়েকদিন ভারি থেকে আরও ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে।

রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। লঘুচাপ সক্রিয় থাকায় সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা।

সকালে নগরের জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির ফলে চারদিকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে কোথাও যেতে পারছি না।

চকবাজার এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, নানা কারণে চট্টগ্রামে বারবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ নগরী পানিতে ডুবে থাকলে সবকিছু যেন থমকে যায়।

নগরীর চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকায় লোকজনও তেমন নেই।

পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার কোনো কোনো অংশে কোমরসমান পানি উঠেছে। লোকজন রিকশা নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। পানি পার করে দেওয়ার জন্য ২০ থেকে ৫০ টাকা নিচ্ছেন রিকশাচালকরা।