27.1 C
Chittagong
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদজাতীয়গভর্নর ডেপুটি নিয়োগও কি এস আলম গ্রুপের পরামর্শে!

গভর্নর ডেপুটি নিয়োগও কি এস আলম গ্রুপের পরামর্শে!

পূর্ববার্তা ডেস্ক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে এস আলম গ্রুপের বিশাল প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি সিদ্ধান্ত নয়; বরং নিজেদের কাছের লোক বড় পদে নিয়োগের জন্য এস আলমের স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে তাল মেলাতেন কর্তাব্যক্তিরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছরে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি হয়েছে হাতে গোনা। ডেপুটি গভর্নর থেকে শুরু করে অন্য বড় বড় পদে বসতে হলে এস আলম গ্রুপকে অবাধ অবৈধ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হতো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সময় সংবাদকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বড় বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের কর্তাব্যক্তিদের ছিল দহরম-মহরম। গভর্নর নিয়োগের আগে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা এস আলম গ্রুপের পরামর্শ নিতো। তৎকালীন সরকারই এস আলম গ্রুপের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল।

ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ছিলেন এস আলম গ্রুপের কাছের মানুষ। তার নিয়োগের পেছনে এস আলম গ্রুপের বড় প্রভাব ছিল। নিয়োগ পেয়ে এস আলম গ্রুপকে হেন কেন অবৈধ সুবিধা নেই, যা আব্দুর রউফ দেননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা সময় সংবাদকে বলেন, গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নররা পদত্যাগ করলেও এস আলম গ্রুপ দমে যায়নি। তারা এখন পর্যন্ত নিজেদের পছন্দের লোক ডেপুটি গভর্নর পদে বসানোর জন্য তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাংকে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।

২০২২ সালের ১১ জুন গভর্নর হিসেবে চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পাওয়া আব্দুর রউফ তালুকদার এস আলম গ্রুপকে যাচ্ছেতাই করতে দিয়েছে উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারল্য সংকট মেটানোর কথা বলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেদার অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে এস আলম পরিচালিত শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে। এই ব্যাংকগুলোর লুটপাট নিয়ে খুব ভালোভাবেই জানতেন গভর্নর। অথচ তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, অবৈধভাবে এসব ব্যাংকে অর্থ সরবরাহ করে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুনে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ২৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। এক বছর পর ২০২৩ সালের জুনে তা কমে ১১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকায় নেমে আসে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য আরও কমে ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
দিনকে দিন যেভাবে তারল্য কমছে তেমনি বেড়েছে তারল্য সহায়তা। চলতি মাসের ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই ছয় ব্যাংকের কাছে বকেয়া তারল্য সহায়তা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬২১ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ। এতে ক্ষণে ক্ষণে ব্যাংকের পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। সময় টিভি