বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ভারতে পালিয়ে যাবার সময় শুক্রবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবিথর হাতে আটক হয়েছেন।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করার বিষয়টি বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
আটক করার পর তাকে বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রেখে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পরবর্তীতে তাকে রাত ১২টা নাগাদ ক্যাম্প থেকে থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাবেক বিচারপতি মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন।
নাজিম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, গতরাতে (শুক্রবার) এক ব্যক্তি তাকে টেলিফোন করে জানান যে অপরিচিত একজন লোক বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাচ্ছে।
তখন বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
একজন ব্যক্তির পালানোর খবরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনা স্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি কলা পাতার ওপরে শুয়ে আছেন।
এরপর তাকে ধরে কিছু প্রশ্ন করেন বিজিবি সদস্যরা। সেইসব জিজ্ঞাসাবাদের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে।
বিবিসি ওই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে সেগুলো শুক্রবার রাতেরই।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বিজিবি সদস্য তাকে জিজ্ঞেস করছে, “আপনার বাড়ি কোথায়?চ্
উত্তরে তিনি বলেন যে মুন্সিগঞ্জ। এরপর নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার নাম বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।চ্
তখনই ওই বিজিবি সদস্যকে বিদ্রুপ করে বলতে শোনা যায়, “বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক? ওই মানিককাৃ যে কয়দিন আগে চ্যানেল আইতে এক উপস্থাপককেৃইৃকরছোৃচ্
তখন মি. মানিক নিজেই বলেন সেই উপস্থাপকের কাছে তিনি পরে “ক্ষমাচ্ চেয়েছেন।
এরপর এক পর্যায়ে তিনি তার বাবার নাম বলেন- মরহুম আব্দুল হাকিম চৌধুরী।
তার কাছে তখন জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কেন ভারতে পালাচ্ছেন? তার উত্তরে তিনি বলেন, “ভয়ে পালাইতেছিৃপ্রশাসনের ভয়ে।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে তিনি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পালানোর সময় তার সাথে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলাদেশি পাসপোর্ট, টাকা, কিছু ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিল। কিন্তু যাদের সহায়তায় তিনি পালাচ্ছিলেন, তারা তার কাছে থাকা ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে এবং তাকে তারা “সীমান্তের ওপারে নিয়ে মেরেছে” বলেও জানান তিনি। বিবিসি