পুরুষ ক্রিকেটারদের সাপ্তাহিক হালনাগাদকৃত টেস্ট র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়ে বড় রদবদল ঘটেছে।
এক লাফে র্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদে দেখা যায় ২৭ নম্বর থেকে ১২ ধাপ এগিয়ে ১৫ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। তারপরেই আছেন মুশফিকুর রহিম, তিনি আছেন ১৭ নম্বরে।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের ইতিহাস গড়া জুটি গড়েন লিটন। মিরাজের বিদায়ের পর টেল এন্ডার হাসান মাহমুদকে নিয়ে গড়েন আরেক বড় জুটি।
তার ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার যিনি দলের ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৬ বা ৭ নম্বরে নেমে টেস্টে তিনটা সেঞ্চুরি করেছেন।
১৫তম অবস্থানে উঠে এলেও এটাই লিটনের ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান নয়। ২০২২ সালে ১২তম অবস্থানে উঠেছিলেন তিনি।
লিটন দাসের পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি গড়তে গিয়ে নিজে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
দলকে বিপদ মুক্ত করা ইনিংসে আইসিসির টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে ৭৫তম স্থানে উঠে এসেছেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ডানহাতি অফস্পিনার এক ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ২২তম স্থানে আছেন। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে মিরাজ উঠে এসেছেন সাতে।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পেছনে বড় অবদান রেখেছিলেন হাসান মাহমুদ। ৪৩ রান খরচায় টেস্টে প্রথমবারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর ১৬ ধাপ এগিয়ে ৫৭তম স্থানে উঠে এসেছেন হাসান।
আরেক পেসার নাহিদ ৪ উইকেট নিয়ে ২৩ ধাপ এগিয়েছেন। বর্তমানে তরুণ এই পেসার আছেন ৯৭তম নম্বরে। দুই ইনিংস মিলে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন ১১ ধাপ এগিয়ে ৮৫ নম্বরে আছেন।