কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে জেলার কয়েকটি উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার দ্বিতীয় দফায় বাঁধের স্পিলওয়ের জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছিল। হ্রদের পানি স্বাভবিক অবস্থায় আসায় ৩৬ ঘণ্টা পর বন্ধ করা হয় ১৬টি জলকপাট।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বাঁধের জলকপাট বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলি জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি জানান, কয়েক দিন থেমে থেমে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি ধারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে জেলার কয়েকটি উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ফলে বাঁধের নিরাপত্তা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১৪ সেপ্টেম্বর বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে ১০৮ দশমিক ৩৬ এমএসএল পানি মজুত রয়েছে। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
বর্তমানে জলকপাট বন্ধ থাকলেও কর্ণফুলি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে। সেখান থেকে সর্বোচ্চ গড়ে ২১৬ হতে ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।