লা লিগায় রীতিমতো উড়ছিল বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষকে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে তুলে নিচ্ছিল একের পর এক জয়। তবে ইউরোপিয়ান মঞ্চে নামতেই ফের খেই হারালো দলটি।
মৌসুম শুরুর আগে গাম্পার ট্রফিতে যে ক্লাবের কাছে হেরেছিল কাতালানরা, সেই মোনাকোর বিপক্ষে আবারও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোনাকোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা।
স্তাদে লুইসে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই একজন কম নিয়ে লড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। শুরুতে গোল হজমের পর ম্যাচে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্লাউগ্রানাদের।
ম্যাচের দশম মিনিটেই বার্সা হারায় এরিক গার্সিয়াকে। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ডিফেন্ডার। সেই সুযোগে ১৬তম মিনিটে মোনাকোকে এগিয়ে নেন মায়েনেস আকলুচে। ১২ মিনিট পর সেই গোল অবশ্য শোধ দেন দারুণ ফর্মে থাকা বার্সা উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
ম্যাচে সমতা ফিরলেও একজন কম নিয়ে খেলা বার্সেলোনাকে ধুঁকতে হয়। হারায় বল দখলের নিয়ন্ত্রণ। সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ শানায় স্বাগতিকরা। ৭১তম মিনিটে দলটা পেয়ে যায় জয়সূচক গোলও। জর্জ ইলেনিখেনা গড়ে দেন ম্যাচের ব্যবধান। তার করা গোলেই হার দিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রা শুরু করলো বার্সা।
রাতের অপর ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে আরেক স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটেই লাইপজিগ তারকা বেঞ্জামিন সেসকোর গোলে পিছিয়ে পড়লেও আঁতোয়ান গ্রিজমান এবং শেষ সময়ে হোসে মারিয়া হিমেনেজের গোলে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে ১-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
বড় জয় পেয়েছে বায়ার লেভারকুজেন। গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কাটানো জাবি আলোনসোর শিষ্যরা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফায়েনুর্ডকে। তবে আটালান্টার কাছে আটকে গেছে আর্সেনাল। ম্যাচটি ড্র হয়েছে গোলশূন্য সমতায়।