30.4 C
Chittagong
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রামে নেচে-গেয়ে উল্লাস করতে করতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামে নেচে-গেয়ে উল্লাস করতে করতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

দলবদ্ধভাবে ‘গান গেয়ে গেয়ে, উল্লাস করে’ এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নম্বর গেট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা, কোন কারণে ভালোবাসার দাম ন দিলা’ গানটি গেয়ে যুবককে পেটানো হয়।

ঘটনার পর দিন ১৪ আগস্ট ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রবর্তক মোড় থেকে ওই যুবকের মরদেহ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে লাশ শনাক্ত করার পর এ ঘটনায় নিহত ওই যুবকের চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

তার আগেই গত ১৩ আগস্ট রাতে এই ঘটনা ঘটলেও গতকাল শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিওটি ভাইরাল হলে চট্টগ্রামজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

হতভাগ্য ওই যুবকের নাম শাহাদাত হোসেন। সে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোডের বিআরটিসি এলাকায় অবস্থিত ফলমন্ডির একটি দোকানে চাকরি করার সুবাধে স্ত্রী শারমিনের সাথে ওই এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

জানা গেছে, হত্যার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেটি দেখে স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, এটি তার স্বামীকে মারারই দৃশ্য। এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

পরে শাহাদাতের চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন সে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যান শাহাদাত।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার স্ত্রীর শারমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় শাহাদাতের। তখন কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবেন বলে স্ত্রীকে জানান। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি। এতে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

তখন তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের চাচা হারুন জানতে পারেন প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহ মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের লাশ পড়ে আছে।

ওই রাতেই পুলিশের সাহায্যে তিনি লাশটি উদ্ধার করেন। পরে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়েও এজাহারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী সেটি দেখে নিশ্চিত করেন যে, মারধরের শিকার ব্যক্তিটিই তার স্বামী।’

তিনি বলেন, ‘যারা শাহাদাতকে হত্যার সাথে জড়িত তাদের খুব দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনা খুবই কষ্টকর। আমরা খুব দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।