ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
এ ছাড়া তার মৃত্যুতে ইরানে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পড়া এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, হাসান নাসরাল্লাহ একক কোনো ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি ছিলেন একটি পথ ও একটি চিন্তাধারা। এই পথ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শহিদের রক্তের প্রতিশোধে ছাড় দেয়া হবে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি করার পরপরই আরেকটি বিবৃতি দিয়েছিলেন খামেনি। সেখানে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তাদের অগ্রভাগে থাকবে হিজবুল্লাহ।
এদিকে হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আরও শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভুলে যাবে না যে এই সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশ নিউইয়র্ক থেকে জারি করা হয়েছিল। তিনি সম্ভবত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতি ইঙ্গিত করে।
তিনি আরও বলেন, নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
এর আগে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন বলে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। ৩২ বছর ধরে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ।
তার আগে হাসান নাসরাল্লাহকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরকে লক্ষ্য করে শুক্রবার হামলা চালায় ইসরায়েল বিমান বাহিনী।
এতে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয় বলে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দাবি করে তেল আবিব। তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের এমন দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও এখন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।