নোয়াখালী-৪ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টায় সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
নোয়াখালীর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় চট্টগ্রামের খুলশি এলাকা থেকে একরামুল করিমকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ দেশি-বিদেশি অর্থ জব্দ করা হয়।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নোয়াখালী-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান একরামুল।
একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী কিছুদিন আগে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
একরামুলের ভাগনে জহিরুল হক রায়হান ছিলেন কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র। তার সৎভাই হাজী ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আরেক ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াস কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
একরামুলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি বিস্ফোরক ও অপহরণ মামলা, কবিরহাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট চারটি মামলা রুজু হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার একটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।