27.6 C
Chittagong
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদলিডমুহুর্মুহু গুলির শব্দে ঘুম হারাম নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবাসীর

চোরাগোপ্তা হামলার প্রস্তুতি!

মুহুর্মুহু গুলির শব্দে ঘুম হারাম নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবাসীর

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৮ নম্বর পিলার চেলির টাল ও ৫১ নম্বর পিলার সংলগ্ন পাইনছড়ি সীমান্তের ওপারে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় চেলিরটালের বিপরীতে ৮ রাউন্ড এবং সন্ধ্যা ৬ টায় একই এলাকায় আরও ২ রাউন্ড বড় আকারের ভারী অস্ত্রের প্রকট শব্দ ভেসে আসে।

আগের দিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পাইনছড়ির বিপরীতে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান স্খানীয়রা। দীর্ঘ ২ মাস পর সীমান্তের এই ২ পয়েন্টে নতুন করে গোলাগুলির আওয়াজ শুনে উভয় দেশের চোরাবারবারী ও সাধারন নাগরিকরা কিছুটা দুঃচিন্তায় পড়েছে। অনেকে আতংকিত বলেও জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, ছুরত আলম ও জসিম উদ্দিন। তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদের প্রথম ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা হলেও তারা চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে আসেন। আজ-কালের মধ্যে তারা চট্টগ্রাম চলে যাবেন।

এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টায় এ গোলাগুলির শব্দ শুনে কিছুটা ভয় পেলেও পরে এলাকার লোকজনের অভয়বানীতে তাদের ভয় কেটে যায়।

দ্বিতীয় ঘটনার বিষয়ে ফুলতলী সীমান্ত সড়কের পথচারী ছুরত আলম ও জসিম উদ্দিন বলেন, তারা সীমান্ত সড়কে বেড়াতে যান। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ৫ মিনিটে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে তারা। এ কারণে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ফিরে আসেন।

অপর বাসিন্দা ছৈয়দ নূর ও ফরিদুল আলম জানান, এ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চোরাকারবার হতো। গেল ঈদুল আজহার
১ সপ্তাহ পূর্ব থেকে এ পয়েন্টে চোরাকারবার বন্ধ হয়ে যায়।

ওপারের রাখাইন বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মির সাথে আরএসও শ্বসস্ত্র গোষ্টির মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে উভয় পক্ষ মূখিমূখি অবস্থানে বর্তমানে। এ কারণে এ পয়েন্টে চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায় বলে তাদের দাবী।

তারা এটিও মনে করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এক কথায় মঙ্গলবার ও বুধবারের গোলাগুলির ঘটনা তারই অংশ বিশেষ।

সীমান্তে এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় জান্তা বিরোধী স্বশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি আর আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অব অর্গনাইজেশন) এর কমান্ডোরা চোরাগোপ্তা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার কারণে মঙ্গলবার থেকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে চলছে।

পক্ষান্তরে স্থানীয়রা আরো জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে বিজিবি সতর্কাবস্থানে রয়েছে। তারা নিয়মিত টহলও দিচ্ছে।

তবে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও দায়িত্বরত ১১ বিজিবি পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।