28 C
Chittagong
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদলিডবন্যার আগে কেন বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে পারলো না?

বন্যার আগে কেন বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে পারলো না?

পূর্ববার্তা ডেস্ক

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যার বিষয়ে পূর্ব সতর্কতা থাকলেও যে মাত্রায় বন্যা হচ্ছে সে বিষয়ে প্রাথমিক সমীক্ষা ছিল না।

এ ধরনের আকস্মিক ও প্রবল মাত্রার বন্যার জন্য প্রস্তুতি নেয়াটা ‘কঠিন’ বলে জানাচ্ছে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আকস্মিক এ বন্যার বিষয়ে অন্তত তিন দিন আগে থেকে সতর্কতা ছিল এবং বিপজ্জনক মাত্রা অতিক্রম করার পূর্বাভাসও ছিল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই আকস্মিক বন্যার বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে বন্যা যে ব্যাপকতায় আসছে আমাদের প্রাথমিক সমীক্ষায় সেই ব্যাপকতার কথা ছিল না।

বন্যার প্রস্তুতির বিষয়ে পূর্বাভাস কেন্দ্র যা বলছে
আকস্মিক এ বন্যা গ্লোবাল চ্যালেঞ্জের অংশ জানিয়ে মি. রায়হান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বন্যা অতি প্রবল মাত্রার হয়েছে। আর আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ডই ‘একদিনের লিডটাইম’।

সেই হিসাবে আসলে প্রস্তুতি নেয়া এমনেই কঠিন। যদি খুবই বড় মাত্রার বন্যা হয় তবে একদিনের প্রস্তুতি যথার্থ না। এটা আসলে গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ আর কি। বিশ্বের নানা জায়গাতেই আকস্মিক বন্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ধরনের বন্যায় অনেক অনিশ্চয়তা থাকে জানিয়ে মি. রায়হান আরো বলেন, “এ বন্যাতে সাধারণত সর্বোচ্চ তিন দিনের বেশি সময় ওভাবে ইফেক্টিভলি পাওয়া যায় না।

আকস্মিক বন্যায় অনেক অনিশ্চয়তা থাকে। অন্তত তিন দিন আগে থেকেই ওয়ার্নিং ছিল। একদিন আগে ডেঞ্জার লেভেলের ফোরকাস্ট দেয়া ছিল, যে ডেঞ্জার লেভেল ক্রস করবে।

আকস্মিক বন্যায় তিন দিন পর্যন্ত সতর্কতা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের যে ইনিশিয়াল এস্টিমেশন ছিল তার তুলনায় বন্যাটা তীব্র হয়েছে। আমরা যে পরিমাণ পানি আশা করেছিলাম তার থেকে বেশি এসেছে। ফলে বন্যাটা অতি চরম আকার ধারণ করেছে।

“এছাড়া মৌসুমী লঘুচাপের কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাগরের জোয়ারের লেভেল হাই ছিল। সব মিলিয়ে বন্যাটা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

উজানে নদনদীর তথ্য নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছিল জানিয়ে মি. রায়হান বলেন, “গোমতী নদীতে ভারতের অমরপুর পয়েন্ট থেকে ডাটা পেয়েছি।

“অমরপুর পয়েন্ট ভারত – বাংলাদেশ থেকে ৮০ কি.মি উজানে। সেখান থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ সবসময়ই তথ্য শেয়ার করে আমাদের সাথে। নিয়মিতভাবেই এ তথ্য পেয়েছি। উজানে পানি বাড়ছে অন্তত একদিন আগে থেকেই আমরা জানতাম।

ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে বন্যার এ মাত্রা কি না-এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানান মি. রায়হান।

“ভারতের বাঁধের ব্যাপারে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাদের সাথে নদ-নদীর পানির বিষয়ে শেয়ার করা হয়। কিন্তু বাঁধের কোনো বিষয় শেয়ার করা হয় না।

গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কিছুটা বেড়েছে এবং বৃহস্পতিবার পাঁচ থেকে ছয়টি জেলা বিপৎসীমার উপরে আছে বলে জানান তিনি।

“আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখাচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত কমে যাবে। আশা করা যাচ্ছে আজকে পানি স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। কাল থেকে পানি কমা শুরু করতে পারে। পরবর্তী সময় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে,চ্ যোগ করেন মি. রায়হান। বিবিসি