জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলার আপিল পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেছেন, “আমরা এ মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ হিসেবে আদালতে গিয়েছি। এ জন্য আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়ে নিজেরা পেপারবুকটা তৈরি (আপিলকারির খরচে) করে আপিল শুনানি করতে পারি, সে আবেদন করেছিলাম।”
আদালত আবেদন মঞ্জুর করে, পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান মি. কামাল।
এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে।
তারপরও আপিল শুনানির কারণ কী – এ প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে।
“খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী না। তিনি অপরাধ করেন নি। ক্ষমাও চান নি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন,” বলেন তিনি।
এ কারণে পেপারবুক তৈরি করে আপিল শুনানির জন্য আদালতের কাছে নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি। ।
২০১৮ সালের ২৯ শে অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫থর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।