12.4 C
Chittagong
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদআইন আদালতপড়াতে না আসতে বলায় নৃশংসভাবে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়

পড়াতে না আসতে বলায় নৃশংসভাবে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়

পূর্ববার্তা প্রতিবেদন

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ ওই স্থানের সাথে কথা বলে জানা যায় তিন নভেম্বর বিকালে মুনতাহাকে উঠান থেকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যায় গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বেগম ও নানি কুতুবজান বেগম। শিশু মুনতাহা কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলে এই দুই মহিলা তাকে টিপে বস্তা চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে এই ছোট্ট রাতে বুঝে রাখে মূলত তাদের কন্যা শামীমাকে গৃহ শিক্ষক থেকে বাদ দেয় এই প্রতিশোধ গ্রহণ করে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর মুনতাহার বাবা তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় অবহিত করেন। পরে থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে থানায় এজাহার দায়ের করেলে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের সূত্র ধরে মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মার্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন মার্জিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে তাদের ঘরে শিশু মুনতাহাকে গলা টিপে ও বস্তাচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আরও কিছু মানুষের নাম এসেছে। আমরা তাদেরকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শামিমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বেগম ও নানি কুতুবজান বেগম, ইসলাম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তারা কানাইঘাটের বাসিন্দা ও শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মুনতাহা আক্তার জেরিন কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে মুনতাহা। দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাকে পাননি। পরে রোববার ভোররাতে মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সকালে তিন নারীকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে দুপুরে আরও এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

মুনতাহার বাপ সৌদি প্রবাসী ছিলেন দেশে ফিরে বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।