দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করেছেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়।
তার নামের পাশে রয়েছে ক্রিকেটের বিভিন্ন রেকর্ডও। এতসব অর্জনের পর এখন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সন্ধিক্ষণে, আর শেষ বেলায় এসে পড়েছেন কঠিন পরীক্ষায়, পরীক্ষায় পাশ না করলে আর খেলতে পারবেন না অলরাউন্ডার ভূমিকায়।
শুধু ব্যাটার হিসেবেই ২২ গজে নামতে পারবেন তিনি। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি। সাকিব বাংলাদেশের মাটিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করতে পারবেন তবে তার জন্য তাকে দেশে ফিরতে হবে।
গেল সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে ম্যাচ খেলতে যান সাকিব আল হাসান।
প্রায় ১৩ বছর পর কাউন্টিতে গিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার দুই ইনিংসে শিকার করেন ৯ উইকেট। তবে পরবর্তীতে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। যা সাকিবের ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম।
পরে গেল ২ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল বিভাগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাকিব। এরপর ১০ ডিসেম্বর সেই পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছে ইসিবি।
কিন্তু সেই বোলিং পরীক্ষায়ও পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এই অলরাউন্ডার। এরপরই এসেছিল ইসিবির প্রতিযোগিতায় তার বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার খবর। আর সেই নিষেধাজ্ঞাই সাকিবকে এবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে।
বিসিবির বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ‘ইসিবির আওতাধীন কোনো প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করার ফলে বাংলাদেশের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকেও নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব।
যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) স্বীকৃত টেস্টিং সেন্টারে পরিচালিত একটি স্বাধীন মূল্যায়নের ফলাফলের ভিত্তিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আইসিসির ১১.৩ ধারা অনুসারে, একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।
এটি আনুষ্ঠানিক নোটিশ প্রাপ্তির সাথে সাথেই প্রযোজ্য, আরও কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন ছাড়াই।