চট্টগ্রাম জেলার ফেনী, সীতাকুণ্ড ও মহানগরীর বাকলিয়া এবং বন্দর থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে হত্যা, ধর্ষণ ও দস্যুতা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর টা থেকে দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার সনমান্দি গ্রামের সুমন আলীর ছেলে মো. শাহ জালাল (২৯), বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার বারইখালী গ্রামের সামসুর রহমানের ছেলে তাওহিদুল ইসলাম (২৩), সীতাকুণ্ড থানার গুলিয়াখালী এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে মো. হাসান (২৫) এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকার মৃত শুক্কুরের ছেলে মো. রহিম (৩৯)।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ.আর.এম মোজাফফর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
এতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় দায়ের হওয়া দস্যুতা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি শাহ জালালকে গতকাল দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন ভাটিয়ারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানায় গত ১৭ এপ্রিল দায়ের হওয়া ধর্ষণের মামলার আসামি তাওহিদুল ইসলামকে ফেনী সদর মডেল থানার লেমুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
একই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি মো. হাসানকে নগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৮ মার্চ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানায় দায়েরকৃত সাকিব হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. রহিমকে শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একই থানাধীন লতিফহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট সাকিবকে বাসা থেকে ডেকে কালামিয়া বাজার এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।