চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিনে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দুই উইকেটে তুলে নিয়েছে ১৭৭ রান। তবে এর সাথে ৫০ রান যোগ করতেই দলটি উইকেট হারায় ৭টি।
প্রথম ও দ্বিতীয়ে সেশনে দাপট দেখিয়েছিলেন রোডেশিয়ান দুই ব্যাটার নিকো ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন টাইগারদের।
তাইজুল ইসলামের ৫ উইকেটে প্রথমদিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। টাইগার স্পিনারের ১৬তম ফাইফার এটি।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে।
প্রথমদিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তুলেছে। তাফাদজাওয়া সিগা ১৮ রানে এবং ব্লেসিং মুজরাবানি ২ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।
প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশন অবিচ্ছিন্ন থেকে কাটিয়ে দেন নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। ২ উইকেটে ১৬১ রান নিয়ে চা বিরতির পর নেমে দুজনেই ঠিকঠাক খেলেছেন। ক্র্যাম্প হওয়ায় এক রান যোগ করে উঠে যান নিকো ওয়েলচ। এরপরই ধস নামে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে। তৃতীয় সেশনে ৭ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
চা বিরতির পর প্রথম আঘাত হানেন নাঈম হাসান। ৬৭.৩ ওভারে দলীয় ১৭৭ রানে ক্রেইগ আরভিনকে ফেরান। নাঈম পরের ওভারে এসে শন উইলিয়ামসকে তানজিম সাকিবের ক্যাচ বানান। ৬৭ রান করেন উইলিয়ামস।
তাইজুলের ঝলক শুরু হয় এরপর। ৭৯তম ওভারে ১৫ রান করা ওয়েসলি মাধেভেরেকে ফেরান। ৮১তম ওভারে দলীয় ২০৬ রানে জোড়া আঘাত হানেন তাইজুল।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান। দলীয় ২১৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ভিনসেন্ট মাসাকাদজাকে রান আউট করেন মিরাজ।
দ্বিতীয়বার ব্যাটে নামেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যাওয়া ওয়েলচ। টিকতে পারেননি ৫ বলের বেশি। ওভারের শেষ বলে ওয়েলচকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ৫৪ রান করেন ওয়েলচ।
পরে তাফাদজাওয়া সিগা ও মুজারাবানি দিনের খেলা শেষ করেন।
তাইজুল ইসলাম ২৭ ওভার বল করে ৬০ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন। নাঈম হাসান নেন ২টি উইকেট। তানজিম সাকিব নেন একটি উইকেট।