লতিফের লড়াকু প্রতিদ্বন্ধী কাউন্সিলর সুমন
বিশেষ প্রতিবেদন : আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান এমপি এম এ লতিফ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন কেটলি প্রতীকে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আছে তিনটিতে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্য দু্ই আসনের চেয়ে বন্দর পতেঙ্গায় নৌকা সবচেয়ে বেশি চাপে আছে।
মহানগরীর অধিকাংশ নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগের এম এ লতিফের সাথে নেই। তাকে মানছেন না এ আসনে দলটির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও। অবস্থা দেখে খোদ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ লিখিতভাবে তার প্রার্থিতা পরিবর্তনের অনুরোধ করে সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছিল।
এদিকে অতিতের উন্নয়ন, ভূর্তকি মূল্যে দীর্ঘদিন জনগণের মাঝে ভোগ্যপণ্য প্রদানের বিনিময়ে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন বলে আশাবাদী এম এ লতিফ। অন্যদিকে সুমন কাউন্সিলর হিসাবে নিজের সফলতার উদাহরন টেনে নির্বাচিত হলে জনগনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
এই নির্বাচনী এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়,আওয়ামী লীগের নেতা কমীর্রা দুইভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রবীন সাধারণ এলাকাবাসীরা এম এ লতিফের অতীতে এলাকাবাসীর সাথে থাকার কথা বলছেন।
মাদারবাড়ি মহল্লা কমিটির সর্দার আবু মোহাম্মদ জানান, অলি গলিতে জিয়াউল হক সুমনের শ্লোগানে মুখরিত। কিন্তু শ্লোগান দেয়া অধিকাংশই যুবক ও কিশোর। আমাদের গলিতে সারা বছর এম এ লতিফের ভূর্তকি দেয়া নিত্য পণ্যের ট্রাক দাড়িয়ে ছিল। মানুষ লাইন দিয়ে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে চাল ডাল তেল কিনেছে। তারা সেই উপকারের কথা মনে রাখলে লতিফকে ভোট দিবেন।
একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সফি জানান, নির্বাচনে দাড়ানোর পর এই এলাকায় সুমনের নাম শোনা গেছে। এর আগে তিনি শুধুই নিজের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তবে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেতা কমীর্রা সুমনের জন্য দিনরাত ছুটছে। মিছিল মিটিং শ্লোগান কিংবা নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মানে তারাই এগিয়ে।
পতেঙ্গা বিজয় নগর এলাকার প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব নুরুল আলম বলেন, মহাজোটের মনোনয়ন ও নৌকার মার্কা পেয়েছেন বর্তমান এমপি এম এ লতিফ। তবে এলাকায় ছাত্রলীগ যুবলীগ অনেক নেতাকর্মীরা জিয়াউল সুমনের পক্ষে কাজ করছেন। এর অন্যতম কারন হচ্ছে সুমনেরর উপর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের আর্শিবাদ ও সমর্থন।
স্থানীয় উন্নয়ন কর্মী এবং সমাজসেবক মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় স্থানীয়দের চেয়ে ভ্রাম্যমান ভোটার বেশি। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানকার দুইটি ইপিজেড এবং বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ করতে লক্ষ শ্রমিকের একটা বড় ফ্যাক্টর। তার উপর বিএনপি সমর্থিত অনেকে ভোট অংশ গ্রহন না করতে পারে। সব মিলিয়ে তা বলা মুস্কিল।
এম এ লতিফ এলাকায় বিতরণকৃত লিফলেট এর শুরুতে কবি নজরুলের বাণী “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” এবং শেষে “চির উন্নত মম শির” দিয়ে শেষ করেছেন। তিনি নিজ এলাকায় ট্যানেল, রিং রোড, মেরিন ড্রাইভ সড়ক ইত্যাদি তার আমলে নির্মিত হয়েছে দাবী করেছেন।
ভোটারের কাছে ভোটের প্রার্থনাও অন্যরকম, তিনি লিখেছেন, এ চিঠি মায়ের কাছে এক সন্তানের। বাবার কাছে পুত্রের। বোনের কাছে ভাইয়ের। বন্ধুর কাছে প্রিয় বন্ধুর।
আপনাদের ভালোবাসা পেয়েই আমি তিন তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছি। আমার আর সাধারণ মানুষের মাঝে কোন তৃতীয় মাধ্যম ছিলো না, থাকবেও না। আমার কাছে মত, পথ ও পদের কোন আলাদা হিসেব নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার কাছে এসেছে, আমিও ভালোবাসার দাবী নিয়ে সবার দুয়ারে গিয়েছি।
হবে না—হবে না করেও তো আমরা এগিয়েছি বহুদূর। তাহলে আজ কেন হাল ছেড়ে দেব? কেন ভাববো কিছুই হবে না আর? সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন করে চালু হবে ১০ তলা বিশিষ্ট ৯টি মডেল স্কুল ও কলেজ। তার মধ্যে দুইটিই আমার নির্বাচনী এলাকায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৫০ কোটি টাকায় নির্মিত একটি হাসপাতাল শীঘ্রই উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে আমার নির্বাচনী এলাকায়। আর হাজার কোটি টাকার রোমাঞ্চকর টানেল, রিং রোড, ফ্লাইওভার, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালসহ এই এলাকার ছোট বড় সব উন্নয়ন এর তালিকা অনেক অনেক দীর্ঘ। এলাকায় এমন কোন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, প্যাগোডা নেই যেখানে সরকারি ও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বরাদ্দ।
অন্যদিকে জিয়াউল হক সুমন নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘর থেকে একজনকে চাকরি দিবে, সব সময় এলাকার জনগনের পাশে থাকবেন। অতীতে নির্বাচিত সাংসদদের চোখে দেখেনি এলাকাবাসী। এবার তার পরিবর্তন হবে ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর থেকে সুমনের সম্পদ ও দায়—দেনার তথ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, এমপি লতিফের বার্ষিক আয় দেখানো হয় ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন দুই কোটি টাকার বেশি। বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এমপি লতিফের জমা অর্থের পরিমাণ দেখানো হয় ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৬২৩ টাকা। এখানেও এমপিকে টেক্কা দেন সুমন। তাঁর জমা রয়েছে ১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে পরে সম্পদের বিপুল পার্থক্য অনেক মানুষকে কৌতুহলি করছে। এই সম্পর্কে জিয়াউল হক সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে,১১ আসনের জণগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেটলি মার্কা নিয়ে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
তিনি নির্বাচিত হয়ে এই অঞ্চলের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, বেওয়ারিশ কবরস্থান তৈরি, জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তিনি আগামী দিনে এই আসন কে একটি ডিজিটাল, স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বন্দর পতেঙ্গার ভোট কি লতিফ নাছিরের অদৃশ্য লড়াই!!!
নানা অনিয়ম-দুর্নীতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার অভিযোগ এনে এম এ লতিফের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রকারান্তরে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে নগর আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ‘অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফ আবার মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
বিষয়টি খোলাসা হয় বিগত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর বন্দর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রধান অতিথি থেকে চমক দেখিয়েছেন। মঞ্চে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে নগর আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন ও নাছির উভয় বলয়ের সমর্থন জিয়াউল হক সুমনের পক্ষেই।
চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমএ লতিফকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন স্থানীয় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন।
সভায় এমএ লতিফের বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির সাথে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামের ১০টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সাংসদ লতিফের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
চট্টগ্রামের ৮ ও ১০ আসনে কয়েকজন দলীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাদের প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়নি নগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন খোদ নগর আওয়ামী লীগ নেতারা। থানা-ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সুমনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
লতিফের সঙ্গে এবার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুমন ছাড়া তেমন কোনো ‘হেভিওয়েট’ নেই। ইসলামী ফ্রন্ট, জাসদ, সুপ্রিম পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, এনপিপি ও গণফোরামের প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লতিফ ও সুমনের মধ্যে। চট্টগ্রামের অন্য আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়েও এই আসন ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়কে ‘কাশিমবাজার কুঠি’ এবং নেতাদের ‘ফ্রিডম পার্টির লোক’ বলায় লতিফকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নগর আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া লতিফের ‘দলবিরোধী’ কার্যকলাপ তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, লতিফ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টানা তিনবার এমপি হলেও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উন্নয়ন সমন্বয় করেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের ‘জ্বালাও-পোড়াওয়ের’ বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মিছিল-সভা, সমাবেশে উপস্থিত থাকেন না।
তাদের ভাষ্য, ‘নারী শক্তি’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এম এ লতিফ তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনকে বেছে নিয়েছেন দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এমনকি জ্যেষ্ঠ নেতারাও সুমনকে জয়ী করতে জোট বেঁধেছেন। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিণী মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনও লতিফের বিরুদ্ধে গিয়ে সুমনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘উনাকে (লতিফ) মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লতিফ সাহেবের বিগত দিনের কর্মকাণ্ডে ওয়ার্ড ইউনিট, থানা, মহানগরের নেতা-কর্মী সবাই অতিষ্ঠ। এই আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য লিখিত অনুরোধ করা হয়েছে।
যেই লোক বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে, জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে যার কোনো অবস্থান নেই, নেতা-কর্মীদের সাথে সম্পর্ক নেই, বারবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দেন, তিনি কীভাবে বারবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন?
‘প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত চিঠি দেয়ার ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া এমএ লতিফ পত্রপত্রিকায় অব্যাহতভাবে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে অশোভন ও কটাক্ষমূলক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানাতে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড থানার ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানার নেতারা এবং সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলররা আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, এই আসনের সংসদ সদস্য গত ১৫ বছর ধরে দলের ইউনিট থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, থানার কোনো নেতার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখেননি। সরকারের কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করেননি।
‘সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা-অনুদানসহ যাবতীয় কিছু দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে বিতরণ না করে অনেক ক্ষেত্রে নিজের আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে বিতরণ করেছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও তাকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা তাদের ক্ষোভের কথা কেন্দ্রে জানাতে অনুরোধ করেন।’
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ লতিফ বলেন, ‘এলাকার কিছু লোক যারা নানা সময় সুবিধার জন্য আমার কাছে এসেছিল, তাদেরকে আমার কাছে ভিড়তে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা প্রলাপ বকছেন। যারা অবৈধ কাজে জড়িত, যারা অনৈতিক কাজ করে, তারাই আমার বিরুদ্ধে বলছে।’
তথ্যসূত্র : স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধি, দৈনিক পূর্বকোণ, সারাবাংলা, নিউজ বাংলা।