22.2 C
Chittagong
সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদউপজেলাএকসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে খুশি পটিয়ার কোহিনুর

চিকিৎসক-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসাধ্য সাধন

একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে খুশি পটিয়ার কোহিনুর

চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্ত্বাবধানে এক প্রবাসীর স্ত্রী একসঙ্গে তিনটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ১১.৪৫ মিনিটে প্রথম, বিকেল ৪.১২ মিনিটে ২য় ও ৪.২০ মিনিটে তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন এ গৃহবধূ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নরমাল ডেলিভারিতে সদ্য ভূমিষ্ট তিন সন্তানের মধ্যে একজনের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তিন নবজাতকে বাঁচতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তপক্ষ।

একসাথে ৩ সন্তান জন্ম দেওয়া ওই গৃহবধুর নাম কোহিনুর আকতার (২৫)। তিনি উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুর পাড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. আবু’র স্ত্রী। তাদের সাত বছর বয়সি আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী বাহাদুর জানান, হাসপাতালে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্বাবধানে থাকা সন্তান সম্ভবা এক গৃহবধু শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে সোয়া ১১টার দিকে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধর এবং হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইরতিফা ইসলাম ও স্টাফ নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যায়। তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় সেখানেই নরমাল ডেলিভারিতে প্রবাসীর স্ত্রীর দুটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

তবে সদ্য ভূমিষ্ট তিন সন্তানের মধ্যে একজনের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তিন নবজাতকে বাঁচতে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তপক্ষ প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী বাহাদুর।

এদিকে দ্বিতীয় বার প্রবাসীর এ পরিবারের তিন সন্তানের জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নবজাতক তিন শিশু ও মাকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমান তার পরিবার পরিজন ও স্বজনরা।

তিন সন্তান জন্ম দেওয়া মা কোহিনুর আকতার বলেন, আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে এবং হাসপাতাল কর্তপক্ষ ও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসাধ্য সাধন হয়েছে।

নরমাল ডেলিভারিতে আমার তিনটি সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমার যত কষ্টই হোক না কেন আমি তাদের ভরণ পোষণ ও লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।

নবজাতক শিশু তিনটি এবং তাদের মা পুরোপুরি সুস্থতা হলে তাদেরকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেবার তথ্য দেন পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।