বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলকে মাত্র ৭৫ রানে অলআউট করে হুঙ্কার দিয়েছিল আফগানিস্তান। অনেকেই ভেবেছিল এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে পারে রশিদ খানরা।
তবে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানরা। এতে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়েছে রশিদ-নবীদের।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আগে ব্যাট করে আফগানদের ১৮২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। এতে ৪৭ রানের জয় পায় ভারত। এই জয়ে সুপার এইটে শুভসূচনা করেছে রোহিত-কোহলিরা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আফগানিস্তান। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ৮ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। ৪ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই।
আজমতুল্লাহ ওমারজাইকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন গুলবাদিন নাইব। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। গুলবাদিন ২১ বলে ১৭ রান এবং ওমারজাই ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন।
এরপর ১৭ বলে ১৯ রান করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আফগানরা। ১৪ বলে ১৪ রান করে ফেরেন নবীও।
শেষ দিকে রশিদ খান (২) এবং নাভিন উল হক (০) আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। এতে ৪৭ রানের জয় পায় ভারত।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এ ছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ও আর্শদ্বীপ সিং দুটি করে, অক্ষর প্যাটেল এবং রবিন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আকাশী-নীলদের। ১৩ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। ১১ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ঋষভ পান্থ।
শুরু ধাক্কার সামলানোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার বিরাট কোহলি। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই ডান হাতি ব্যাটার। ২৪ বলে ২৪ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন তিনি। ৭ বলে ১০ রান করে আউট হন শিভম ডুবেও।
তবে হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন সূর্যকুমার যাদব। বাউন্ডারি- ওভার বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সূর্যকুমার। কিন্তু পরের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
২৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন পান্ডিয়াও। ৫ বলে ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাদেজা। এতে ছন্দ হারায় ভারত। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটের ৬ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রোহিত শর্মার দল।