27.1 C
Chittagong
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদচট্টগ্রামকর্ণফুলীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার,স্বামী পলাতক

কর্ণফুলীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার,স্বামী পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বার বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ নাছিমা বেগম (৩৮) নামে এ গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে।

লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই নিহতের স্বামীর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ ধারণা করছেন হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী।

মৃত নাছিমা একই উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সেকান্দর মিয়ার মেয়ে। পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটের মালিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সোলায়মান তার স্বামী। নাছিমা ইয়ংওয়ান প্রতিষ্ঠানের কেএসআই গার্মেন্টসের একজন শ্রমিক বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নাছিমা একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার প্রথম স্বামী আকতারের ঘরের ছেলে কামরুল হাসান ইমন (১৮) এবং মেয়ে কানিজ ফাতেমা ইমু (১৩) সহ চরলক্ষ্যা গ্রামের মহিউদ্দিনের ভাড়া ঘরে এক বছর যাবত বসবাস করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নাছিমার দ্বিতীয় স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মান ভাড়া বাসায় আসেন। মেয়ে ইমু তখন বাসায় ছিলেন। একই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হয় এবং মেয়ে তা শুনতে পায়।

সকাল ৮ টার দিকে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে মা সামনের রুমে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শায়িত আছে। মেয়ে তার মা ঘুমাচ্ছে মনে করে আর ডাকেনি।

পরে ছেলে ইমন ঘরে এসে তার মা’কে ডাকলে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে হাত-পা ধরে দেখে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আছে। ছেলেটি আশে-পাশে তার মামা-মামী, নানা-নানুদের ডাকলে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে মনে করে বিছানা থেকে নামিয়ে মৃত দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করতে শুরু করে।

পরে তাঁরা লাশের দাফনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখেন মৃত নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং জিহ্বা বাহির করে দাঁতে কামড় দেওয়া অবস্থায়। এটা দেখে সন্দেহ জাগলে তারা ৯৯৯ এ কল করেন। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক পটিয়ায় অভিযান চালালেও সোলায়মানকে আটক করতে পারেনি। সে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ এ ঘটনাটি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূর লাশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।