চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা থেকে কর্ণফুলী-পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে চলন্ত বাসের মধ্যেই এক নারীকে গণধর্ষণ করেছে চালক ও হেলপার।
এ ঘটনায় এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
অভিযোগের পর সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বাসটির অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাসচালক মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা (২০) পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের জামাল মেম্বার বাড়ির মৃত হাশেম খানের ছেলে এবং হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান (১৯) আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের রাজা তালুকতার বাড়ির মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী রাত সাড়ে ৯টার সময় পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে উঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বাসের অন্যান্য যাত্রী মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ভিকটিম নারী বাসে একা হয়ে যান। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করেন।
পরে বাসটি নতুন ব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতু পার হয়ে পটিয়ার দিকে রওনা হলে ড্রাইভারও নারীকে ধর্ষণ করেন। বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান। বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।