বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর এবং বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজারের লাবণি চ্যানেল ও ইনানী পয়েন্টে ৬টি ট্রলার ডুবে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় মোহাম্মদ জামাল ও নুরুল আমিন নামে ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাশখালী এলাকায়। তাছাড়া ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো স্রোতের তোড়ে সমুদ্রসৈকতের কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভেসে আসে। এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কূলে উঠতে পারলেও ৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে ফিশিং ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও ৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
তাছাড়া তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ফিশিং ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
বলেন, এসব ট্রলারে ৫ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন। যাদের সঙ্গে গত বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম জানা গেছে, এগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।
ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা।
কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।